পড়শি দেশকে ভাতে মারার পরিকল্পনা! পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, ভারত (India) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একটি কঠোর পদক্ষেপ নিল। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানে উৎপন্ন বা সেখান থেকে রফতানি করা সকল পণ্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।এই নিষেধাজ্ঞা সেইসব পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে যেগুলি অবাধে আমদানি করা যায় বা অনুমোদিত, সেইসাথে তৃতীয় দেশ দিয়ে পরিবহন করা হয়।

বড় পদক্ষেপ ভারতের (India):

ফের দরিদ্র হবে পাকিস্তান: এদিকে, পাকিস্তানের সাথে আমদানি-রফতানি নিষেধাজ্ঞার কারণে পাকিস্তান আরও দরিদ্র হয়ে পড়বে। দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই সীমিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবার সম্পূর্ণরূপে বন্ধও হয়ে যেতে পারে। পাকিস্তান থেকে ভারতের (India) আমদানির মধ্যে মূলত কৃষিপণ্য, মশলা এবং কিছু খাদ্যদ্রব্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। যা এখন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে খাদ্য ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির আকারে এই প্রভাব স্পষ্ট হতে পারে। জানিয়ে রাখি যে, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের পর ভারত (India) পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করে দিয়েছিল। তবে, বর্তমান এই নিষেধাজ্ঞা সেই দিকে আরও একটি কঠিন পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খেলতে যাবে না ভারত? সম্পন্ন হবে না এশিয়া কাপও? সামনে এল বড় আপডেট

পহেলগাঁও হামলা উত্তেজনা বাড়িয়েছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পাহেলগাঁওয়ের বৈসরান উপত্যকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২ বিদেশি পর্যটক সহ ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)। যদিও পরে তারা দায় অস্বীকার করে। তবে, ভারত (India) এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করা এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা।

আরও পড়ুন: দিঘার মন্দিরে “জগন্নাথ ধাম” শব্দের ব্যবহারে প্রতিবাদে সরব পুরীর ভক্তরা! মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হল চিঠি

ভারত এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পাকিস্তান যতক্ষণ না সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন বন্ধ করে, ততক্ষণ তারা তাদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত রাখবে। ইতিমধ্যেই, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীর উপত্যকায় তাদের অভিযান আরও জোরদার করেছে। এদিকে, এই হামলার পর ভারতের (India) নেওয়া পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায়, এই উত্তেজনা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছবে নাকি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সেদিকেই এখন বিশ্বের নজর রয়েছে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X