বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে অর্থনীতির (Economy) দিক থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রমশ ভালো ফল করছে ভারত (India)। পাশাপাশি, ভারতীয় অর্থনীতির প্রসঙ্গে সামনে আসছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাভাসও। ঠিক এই আবহেই বড় তথ্য সামনে আনলেন নীতি আয়োগের (NITI Aayog) প্রাক্তন CEO অমিতাভ কান্ত (Amitabh Kant)। তিনি অনুমান করেছেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত জাপানকে ছাড়িয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে।
বর্তমান জিডিপি অনুসারে, আমেরিকা, চিন, জার্মানি এবং জাপানের পরে ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে, ভারত ইতিমধ্যেই ২০২২ সালে অর্থনীতির দিক থেকে ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে গেছে। এক দশক আগেও ভারতের জিডিপির নিরিখে বিশ্বে স্থান ছিল ১১ তম। তবে, বর্তমানে ভারতের জিডিপি প্রায় ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
Fragile অর্থনীতি: কান্তের মতে, রেকর্ড GST সংগ্রহ থেকে শুরু করে গত তিনটি ত্রৈমাসিকে ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি বৃদ্ধি, ভারতীয় মুদ্রা রুপির নিম্ন বৃদ্ধির কারণেই ভারতের অর্থনীতি আজ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। “Fragile” শব্দটি ২০১৩ সালে মরগান স্ট্যানলি দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি ছিল ভারত সহ পাঁচটি উদীয়মান দেশের একটি গোষ্ঠীর জন্য। যাদের অর্থনীতি সেই সময়ে ভাল করছিল না। ভারতের পাশাপাশি, এই গ্রুপের দেশগুলির বাকি চারটি দেশ ছিল ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্ক।
আরও পড়ুন: পাত্তা পাবে না কেউই! এবার এই সেক্টরের “রাজা” হবেন আদানি, প্রস্তুত ৮০,০০০ কোটির চেক
৮.৪ শতাংশের বিশাল বৃদ্ধি: জানিয়ে রাখি যে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি ৮.৪ শতাংশের বিশাল বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অনুসারে, ভারত ২০২৪ সালে প্রধান অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল থাকবে। শুধু তাই নয়, IMF তার নতুন আউটলুকে, ২০২৪-এর জন্য ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৮ শতাংশ করেছে। যেখানে ভারতের অর্থনীতি ২০২২-২৩ সালে ৭.২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ সালে ৮.৭ শতাংশ ছিল।
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে সাইবার হামলা, “টার্গেট” ভারতও, ঘনিয়ে আসছে বড় বিপদ
অমিতাভ কান্ত: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অমিতাভ কান্ত হলেন একজন ভারতীয় আমলা। পূর্বে তিনি NITI আয়োগের CEO ছিলেন। তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের কেরালা ক্যাডার থেকে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। G20 প্রেসিডেন্সির জন্য কান্তকে বেছে নিয়েছে ভারত। মূলত, G20 হোস্ট করার ক্ষেত্রে কান্তের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়।