বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (china) পিপিই (PPE) বাণিজ্যকে এবার টেক্কা দিতে চলেছে ভারত (India)। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বজোড়া পিপিই কিটের আকালকে নিজের বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যাবহার করেছিল চীন। চীনে তৈরি নিম্নমানের কিট বাধ্য হয়েই কিনতে হয়েছিল ভারত সহ অন্য দেশগুলিকে। যা নিয়ে অন্য দেশগুলির ক্ষোভ ছিল। এবার সেই ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে চীনের বাণিজ্যকে মাত দিতে চায় ভারত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলি প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় এই কাজ করেছে। ভারতের শীর্ষস্তরের ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি যেমন, অরবিন্দ মিল, ৩এম, ইণ্ডিয়ান টেকনিক্যাল টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্যরা যারা যুক্ত ছিল। ডিআরডিও-র ল্যাবরেটরিতে টেস্টিং হয়েছে । সব মিলিয়ে ভারত বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পিপিই কিট উৎপাদক।
বর্তমানে, ভারত ১.৭ লাখ পিপিই কিট প্রতিদিন প্রস্তুত করতে সক্ষম। উৎপাদন ২ লাখ অবধি নিয়ে যাওয়া হবে অচিরেই। দেশের চাহিদা মেটানোর পরেই অন্যান্য দেশে কিট রপ্তানি করতে চায় ভারত। ইতিমধ্যেই ভারতে তৈরি ৮০ লাখ পিপিই কিট স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের দেওয়া হয়েছে, আরও ১.৫ কোটি শীঘ্রই বিতরণ করা হবে। এছাড়াও, মে মাসের মধ্যেই দেশীয় পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট উৎপাদন শুরু হবে ভারতে।
পিপিই-তে কী থাকে
পিপিই-র পুরো মানে হলো পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, পর্যাপ্ত সুরক্ষার জন্য পিপিই-তে মোট পাঁচটি উপকরণ থাকতে হয়। এগুলো হলো –
১. গাউন
২. গ্লাভস
৩. মুখের আবরণ (ফেস শিল্ড)
৪. চোখ ঢাকার জন্য মুখের সাথে লেগে থাকে এমন চশমা, এবং
৫. মাস্ক
একজন ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করে পিপিই পরতে এবং খুলতে হয়, কারণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই অনেক সময় পিপিই দূষিত হয়ে পড়তে পারে।