বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইলেক্ট্রনিক্স কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং স্কিমকে অনুমোদন দিয়েছে। যার জন্য সরকার ২২,৯১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এমতাবস্থায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং স্কিম ঠিক কী এবং এটি কীভাবে দেশকে (India) সাহায্য করবে?
হু হু করে এগোবে ভারত (India):
আসলে, এখনও পর্যন্ত দেশে (India) “মেড ইন ইন্ডিয়া” স্কিমের প্রচার করা হয়েছিল। এই স্কিম তারই একটি এক্সটেনশন। এর অর্থ হল, “মেড ইন ইন্ডিয়া_ স্কিমের অধীনে, ইলেকট্রনিক আইটেমগুলির প্রোডাকশন ভারতে শুরু হয়। কিন্তু সমস্যা হল ইলেকট্রনিক পণ্য দেশে তৈরি হলেও এর যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করা হত। অর্থাৎ সোজা কথায় বলতে গেলে, এতদিন পর্যন্ত ইলেকট্রনিক প্রোডাক্টের অ্যাসেম্বলিং হত।
তবে, এবার সরকার ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের স্বদেশি উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য একটি নতুন প্রকল্প শুরু করেছে। যাতে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের জন্য বিদেশের ওপর আর নির্ভর করতে না হয়। উদাহরণস্বরূপ, iPhone ভারতে (India) তৈরি হয়। কিন্তু এর যন্ত্রাংশ, চিন ও ভিয়েতনাম সহ অন্যান্য একাধিক দেশ থেকে সাপ্লাই করা হয়।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই স্কিমটি ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে বড় আকারের দেশীয় এবং বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের সুযোগকে উন্নীত করবে। এছাড়াও, ভারতীয় (India) সংস্থাগুলি বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলির সাথে কাজ করার সুযোগ পেতে পারবে। সরকার এই প্রকল্প থেকে ৫৯,৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশা করছে। এছাড়াও, ৪,৫৬,৫০০ কোটি টাকার উৎপাদন আশা করা হচ্ছে। এই স্কিম চালু হলে দেশে ৯১,৬০০ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের জন্য “বিশেষ দাবি” রোহিত শর্মার! রাখঢাক না রেখে কী জানালেন হিটম্যান?
এই স্কিম কোন কোন সেক্টর কভার করবে:
১. ডিসপ্লে মডিউল সাব অ্যাসেম্বলি
২. ক্যামেরা মডিউল সাব অ্যাসেম্বলি
৩. নন সারফেস মাউন্ট ডিভাইস
৪. ইলেক্ট্রো- মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট
৫. মাল্টি লেয়ার প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (PCBs)
৬. লিথিয়াম আয়ন
৭. মোবাইল এবং আইটি হার্ডওয়্যার প্রোডাক্ট
আরও পড়ুন: ফের ভবিষ্যদ্বাণী IIT বাবার! কোন দল জিতবে IPL? জানিয়ে দিলেন এবার
স্কিমের মেয়াদ: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এই স্কিমের মেয়াদ হল ৬ বছর। এর মধ্যে প্রারম্ভিক এক বছর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কোম্পানি যখন কর্মসংস্থানের লক্ষ্য পূরণ করবে তখন এই স্কিমের অধীনে অর্থপ্রদান করা হবে। সরকার অনুমান করে যে, ইলেকট্রনিক্স বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল ব্যবসা। যা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইলেকট্রনিক পণ্যের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে ১.৯০ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৯.৫২ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। যা ১৭ শতাংশের বেশি একটি চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক বৃদ্ধির হার (CAGR) অর্জন করেছে। অপরদিকে, ওই সময়ে রফতানিও ০.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২.৪১ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। যেখানে ২০ শতাংশের বেশি CAGR পরিলক্ষিত হয়েছে।