বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, টানা ৭ সপ্তাহ ধরে ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে যে পতন ঘটেছিল তা এখন বন্ধ হয়েছে। মূলত, মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি ০.৫ শতাংশ শক্তিশালী হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫-এ শেষ হওয়া ট্রেডিং সপ্তাহে ভারতীয় রুপি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ০.৫ শতাংশ শক্তিশালী হয়।
ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে উত্থান:
এদিকে, এই বৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের বৃদ্ধি ঘটেছে। তবে ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের প্রসঙ্গে সুখবর সামনে এলেও প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। কারণ, পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার হ্রাস পেয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রভাব: এই প্রসঙ্গে জাগিয়ে রেখেছে, আমেরিকার নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর উনি দ্রুত শুল্ক আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নেন। যার ফলে এশিয়ার মুদ্রায় স্বস্তি এসেছে। রুপির শক্তিশালী হওয়ার অনেকগুলি কারণের মধ্যে এটিও অন্যতম একটি কারণ।
পাকিস্তানের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়: একদিকে, যেখানে ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে বৃদ্ধি ঘটছে অপরদিকে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের তীব্র ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে। ২০২৫ সালের ২৪ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে, পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে ১৩৭.২ মিলিয়ন ঘাটতি ঘটে। এই হ্রাসের কারণে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার এখন ১৬.০৫২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: চমকের পর চমক! বাজেটের পরেই দুর্দান্ত ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, কপাল খুলবে যাত্রীদের
সোনার মজুত ও SDR বেড়েছে: জানিয়ে রাখি যে, ভারতের (India) সোনার মজুত এবং স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসে (SDR) সাম্প্রতিক বৃদ্ধি আর্থিক স্থিতিশীলতাকে আরও শক্তিশালী করেছে। ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সোনা এবং মূল্যবান ধাতুগুলির আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছিলেন। যা দেশীয় বাজারে তাদের চাহিদা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে মহাসমারোহে সম্পন্ন হল বাগদেবীর আরাধনা! ২৪ বছরে পদার্পণ কেমব্রিজের সরস্বতী পুজোর
এদিকে, বর্তমানে, ভারতের (India) সোনার মজুত বৃদ্ধি পেয়ে ৮০০ টন হয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই SDR-ও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে ভারতের আন্তর্জাতিক আর্থিক অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে।