বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দুর্দান্তভাবে সিরিজে সমতায় ফিরলো ভারতীয় দল। আবেশ খান এবং যজুবেন্দ্র চাহালের অসাধারণ বোলিং এবং হার্দিক পান্ডিয়া ও দীনেশ কার্তিকের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ভর করে সিরিজে সমতা ফেরালো পন্থরা। নিউ দিল্লি এবং কটক এ বিশ্রীভাবে হারার পর ভাইজাগ এবং রাজকোটের মাটিতে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-২ করে ফেলল ভারত।
কিন্তু আজ ভারতীয় টপঅর্ডার একেবারেই নিজেদের সেরা ফর্মে ধারে কাছে ছিল না। ঈশান কিষান (২৭) বাদে আর কোন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ব্যর্থ হন অধিনায়ক রিসব পন্ত তিনি ২৩ বল খেলে মাত্র ১৭ রান করে ফেরেন। একসময় ১৩ ওভারে মাত্র ৮১ রান করে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল ভারত।
এই অবস্থা থেকে ভারতকে উদ্ধার করেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং দীনেশ কার্তিকের জুটি। দুজনেই আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। দুজনেই নিজেদের পরিচিত ছন্দে ব্যাটিং করলেন। ৩১ ফলে ৩ টি চার এবং ৩ টি ছক্কা সহ ৪৬ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন পান্ডিয়া। অর্ধশতরানের থেকে মাত্র মাত্র ৪ রান যখন তিনি দৌড়ে তখন লুঙ্গি এনগিডির বলে আউট হন তিনি। কিন্তু ইনিংসকে আসল গতি দিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক আজ দীর্ঘক্ষন ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং সেই সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগান এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৯টি চার এবং দুটি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৫৫ রানের একটি আগ্রাসী ইনিংস খেলেন তিনি। তার এই দুর্দান্ত ইনিংসের দৌলতে ভারত ২০ ওভারে ১৬৯ রান তোলে।
রান তাড়া করতে নেমে একেবারেই স্বাচ্ছন্দে ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। আহত হয়ে ক্রিজ ছাড়তে বাধ্য হন প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভূমা। ওপেনার কুইন্টন ডি কক, চার নম্বরে নামা রাসি ভ্যান ডার ডুসেন এবং মার্কো জেন্সেন ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। দুর্দান্ত বোলিং করে ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, মার্কো জেন্সেন এবং কেশব মহারাজের উইকেট নেন আবেশ খান। নিজের চার ওভারে মাত্র ১৮ রান দেন তিনি। গত দুই ম্যাচে সাফল্য না পাওয়ায় সমালোচকরা কড়া সমালোচনা করেছিল তার। সেই সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিলেন আবেশ। সেই সঙ্গে নিজের ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ টি উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহালও। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হর্ষল এবং অক্ষর প্যাটেল।