শক্তিবৃদ্ধি ভারতীয় নৌসেনার! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের যাত্রা শুরু আজ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকের দিনটি ভারতীয় নৌ বাহিনীর জন্য নিঃসন্দেহে একটি স্মরণীয় দিন। নজিরবিহীন এক মাইলফলক স্পর্শ করল নৌসেনা। প্রথমবার দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হওয়া বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ INS Vikrant তার যাত্রা শুরু করল আজ। মূলত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাত ধরেই শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে জলে ভাসবে রণতরী INS Vikrant। কোচি শিপইয়ার্ড লিমিটেডে এই শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, প্রায় এক বছরের সমুদ্র ট্রায়াল (Sea Trial) শেষ করার পর আজ নৌ বাহিনীতে যোগ দেবে এই যুদ্ধজাহাজ। এমতাবস্থায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, INS Vikrant-এর যাত্রা শুরুর প্রসঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে প্রধানমন্ত্রী জানান, এটি শুধুমাত্র প্রথম দেশীয় বিমানবাহী রণতরী নয়, পাশাপাশি এটি সমুদ্রের উপর একটি ভাসমান দুর্গও বটে। INS Vikrant-এর ডিজাইন এবং নির্মাণকাজ সবকিছুই সম্পন্ন হয়েছে আমাদের দেশে। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী আজ নৌবাহিনীর নতুন চিহ্নও উদ্বোধন করেন। যার উপরের বামদিকে রয়েছে জাতীয় পতাকা। পাশাপাশি, ডানদিকে রয়েছে অশোক স্তম্ভ এবং নিচে রয়েছে নোঙর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৬২ মিটার উঁচু এবং ৬২ মিটার চওড়া INS Vikrant হল দেশে তৈরি সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ। পাশাপাশি এই জাহাজে রয়েছে অত্যাধুনিক অটোমেশন পদ্ধতি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এটি ভারতের নৌসেনার ইতিহাসে তৈরি হওয়া সবচেয়ে বড় রণতরী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রায় ৪৫ হাজার টনের এই যুদ্ধজাহাজটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

INS Vikrant-এ রয়েছে মহিলা অফিসারদের থাকার জন্য পৃথক ব্যবস্থা। প্রায় ১৬০০ ক্রু সদস্য থাকতে পারবেন এই রণতরীতে। এছাড়াও, এই যুদ্ধজাহাজে থাকা রানওয়ের দৈর্ঘ্যটি হল ৯০ মিটারেরও বেশি। যার ফলে মিগ-২৯ কে এবং তেজসের মতো যুদ্ধবিমানও এখানে ওঠানামা করতে পারবে। সর্বোপরি, ফাইটার জেট এবং হেলিকপ্টার সহ মোট ৩০ টি বিমান থাকতে পারবে এই যুদ্ধজাহাজে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর