বাংলা হান্ট ডেস্ক: এশিয়া মহাদেশে বিগত এক দশক ধরে বিভিন্ন উত্তেজনার পরিবেশ বজায় রয়েছে। পাশাপাশি, এখানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শত্রুতা সর্বজনবিদিত। ইতিমধ্যেই বহুবার এই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়াও, চিনের সম্প্রসারণবাদ নীতির কারণে একাধিক সময়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই রেশ বজায় রেখে ভারতের সঙ্গেও ওই দেশের বহুবার বিবাদ হয়েছে।
এমতাবস্থায়, এখন যদি আমরা বড় দেশগুলির কথা বলি, সেক্ষেত্রে এশিয়ার মধ্যে ভারত, চিন এবং পাকিস্তান অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। পাশাপাশি, নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণের প্রতিযোগিতায় এই তিনটি দেশ ক্রমাগত তাদের পারমাণবিক শক্তির সম্প্রসারণও করছে। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা বেশ বিষ্ময়কর। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ঠিক কি রয়েছে সেই প্রতিবেদনে।
ভারতের কাছে ১৬০ টি অস্ত্র রয়েছে:
স্টকহোম-ভিত্তিক SIPRI গত সোমবার প্রকাশিত তাদের একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, ভারত, চিন এবং পাকিস্তান ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাদের পারমাণবিক অস্ত্র অনেকাংশেই বাড়িয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের কাছে ১৫৬ টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল, যা এখন ১৬০-এ উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সম্পর্কে এই সংস্থাটি বলেছে যে, পাকিস্তানের কাছে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রায় ১৬০ টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল, যা ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৬৫ টি হয়েছে।
তিন দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে চিন:
এদিকে, পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় চিন এই তিন দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন ক্রমাগত তার পারমাণবিক অস্ত্র বাড়াচ্ছে। এদিকে, কিছুদিন আগে একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশিত হয়। সেটি অনুযায়ী জানা গিয়েছে চিন তার পারমাণবিক শক্তি প্রায় ৩৫০ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চিন তার প্রতিবেশী দেশগুলিকে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের জন্য প্ররোচিত করে। এমনকি, তিব্বত দখলের পর এবার সেই দেশের চোখ রয়েছে তাইওয়ানের দিকে। এদিকে, তাইওয়ানের সাথে চিনের দীর্ঘদিনের উত্তেজনা রয়েছে। বর্তমানে ওই দুই দেশের মধ্যে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে যুদ্ধের আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।