বাংলাহান্ট ডেস্ক : সীমান্ত নিয়ে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে লাদাখে (Ladakh)। চিনা পিপলস লিবারেশন (PLA) আর্মি পূর্ব লাদাখের ডেমচোক অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যেতে বাধা দেয় একদল ভারতীয় পশু পালকদের। এই ঘটনার পরই ভারতীয় সেনা চিনা সেনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। সূচনা মারফত জানা যাচ্ছে, গত ২১ অগস্ট ভারতীয় ভূখণ্ডকে চিনের অংশ বলে দাবি করে চিনা সেনা। এর পরই ডেমচোকে ‘স্যাডল পাস’-এর কাছে যেতে ভারতীয় পশু পালকদের বাধা দেয় পিএলএ।
ভারতীয় সেনার কমান্ডাররা চিনা সেনার সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনা শুরু করেছেন। এর আগে ২০২০ সালে যেখানে ভারত ও চিনা সেনার ফেস-অফ হয়েছিল, সেই জায়গার খুব কাছেই ভারতীয় পশু পালকদের বাধা দেয় চিনা সেনা। এক সেনা কর্তা বলেন, ‘এই ধরনের আপত্তি অনেক সময়ই হয়ে থাকে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভারত এক দাবি করে তো চিন অন্য কিছু দাবি করে থাকে। তা থেকেই এই রকম ঘটনা ঘটে।’
বিগত প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে লাদাখে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি রয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে বিবাদের সূত্রপাত। এরপর গালওয়ানে সংঘর্ষ হয় দুই দেশের। শহিদ হন ভারতের ২০ জন সেনা জওয়ান। চিনের তরফে হতাহত অন্তত পক্ষে ৪০। এরপর সীমান্তে গুলি চলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে গালওয়ানের ঘটনার পর থেকে দুই দেশের কোনও সেনা জওয়ানই আর প্রাণ হারাননি। একাধিক বৈঠকের পরও সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান হয় নি। এই অবস্থায় লাদাখে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে ভারত। চিনের পক্ষ থেকেও একাধিক পদক্ষেপ করা হয়।
n Ar
গত সপ্তাহেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘বর্তমানে ভারত-চিন সম্পর্ক খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’ এর আগে জুলাইতে শেষবার বৈঠকে বসেছিল ভারত ও চিনা সামরিক বাহিনীর কর্তারা। সেটি ছিল দুই দেশের সেনার মধ্যে ১৬তম বৈঠক। বিফল হয় সেই বৈঠকও। বর্তমানে কংকা লা, দৌলত বেগ ওল্ডি সেক্টরের ডেপসাং বুল্জ এবং ডেমচোক সেক্টরে চার্ডিং নল্লা জংশনের কাছে প্যাট্রোলিং পয়েন্ট-১৫ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এই বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হয় সেটাই এখন আলোচ্য বিষয়।