বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) আর চীনের (China) মধ্যে লাদাখ (Ladakh) বর্ডারে গালওয়ান উপত্যকায় পরিস্থিতি উত্তেজক হয়ে উঠেছে। সোমবার রাতে লাদাখ বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় চীন আর ভারতের সেনা একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষে ভারতের দুই জওয়ান সমেত এক কর্নেল শহীদ হন। আরেকদিকে ভারতের পাল্টা হানায় চীনের পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু হয় এবং ১১ জন আহত হয়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল রাতে সীমান্তে একটিও গুলি চলেনি। গুলি চালানোর বদলে চীনের সেনা কাঁটাতার লাগানো লাঠি, ডাণ্ডা দিয়ে ভারতের সেনার উপর হামলা চালায়।
সুত্র অনুযায়ী যখন বর্ডারে কম্যান্ডার বৈঠক হয় তখন সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, PP14-15-17 এ চীন বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চলে যাবে। কিন্তু চীনের সেনা এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ হয়। ভারতের তরফ থেকে বারবার চিনকে এই নিয়ে বোঝানোঅ হয়। কিন্তু চীন সেই সমস্ত কথা কানে না নিয়ে ভারতের উপর হামলা করে দেয়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনের সেনা ভারতীয় সেনার উপর পাথরও ছোঁড়ে। এরপর লোহার হাতিয়ার, কাঁটাতারের ডাণ্ডা আর লাঠি নিয়ে ভারতের সেনার উপর হামলা করে। যেই অফিসার এই বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, উনি চীনের পাথরবাজির ফলে আহত হয়ে যান।
সুত্র অনুযায়ী, এওখন ভারতের ১০ থেকে ১২ জন জওয়ান আহত হয়ে যান, আর চীনের জওয়ানরাও ভারতের পাল্টা হানায় আহত হয়। যদিও এই নিয়ে সেনার তরফ থেকে এই নিয়ে কোন অফিসিয়ালি বয়ান জারি করা হয়নি।
আর এর মধ্যে চীন উল্টে ভারতের উপর দোষ চাপানো শুরু করে দিয়েছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রালয় বলেছে যে, ভারতের তরফ থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হচ্ছিল, এরপরই দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আমরা ভারতের কাছে আবেদন করছি যে, দয়া করে একতরফা অ্যাকশন নেবেন না।
এই পুরো বিষয়ে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে অফিসিয়ালি বয়ানে বলা হয়েছে যে, ‘গালওয়ান উপত্যকায় সোমবার রাতে সেনার পিছু হটার প্রক্রিয়ার সময় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আর এই সংঘর্ষে ভারতের এক কর্নেল এবং দুই জওয়ান শহীদ হন। দুই দেশের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা এই মামলাকে শান্ত করার জন্য বড় বৈঠক করছে।”