বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল যে নীতি মেনে ক্রিকেট খেলছে সেই পদ্ধতিকে অনেকে তাদের বর্তমান কিউয়ি কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নামানুসারে ‘ব্যাজবল’ নামে ডেকে থাকেন। এই নীতি অনুযায়ী বোলারের সুনাম, পিচ বা পরিস্থিতির তোয়াক্কা না করে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন। এই নীতি নিয়ে নানা মুনির নানা মত দেখা গিয়েছে। তবে দরকার পড়লে ভারতীয় দলও (Indian Cricket Team) যে এই নীতিতে কম যায় না সেটা গতকাল আরও একবার প্রমাণিত হলো।
এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলছে। প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল তারা। কিন্তু ম্যানচেস্টারে ম্যাচের দাপট দেখিয়েও বৃষ্টির কারণে তারা জয় পায়নি এবং তাদের পক্ষে আর সিরিজ জেতা সম্ভব নয়। অপর থেকে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল এই মুহূর্তে দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতে ব্যস্ত।
প্রথম ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের দাপটের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে তারা কিছুটা লড়াই করেছে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাঁধে বিশাল বড় টার্গেট চাপিয়ে দিতে ব্যস্ত তখন ক্যারিবিয়ান বোলাররা কোনওভাবেই ভারতীয় বোলারদের আটকাতে পারেনি। এভাবেই রোহিত শর্মা এবং তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল তৈরি করেছেন বিশ্বরেকর্ড।
আজ অবধি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এত দ্রুতগতিতে দলগত ১০০ রান কেউ তুলতে পারেনি। রোহিত এবং যশস্বী কাল মাত্র ৭৪ বলে ১০০ রান করে বিশ্বরেকর্ড করেছেন। ৯৮ রানের দলগত স্কোরের রোহিত শর্মা আউট না হলে হয়তো বার ওভার এই কাজটা করে ফেলতে পারতো ভারত।
টেস্টে দ্রুততম দলগত ১০০ রান:
১. ভারত (১২.২ ওভারে, ২০২৩, বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
২. শ্রীলঙ্কা (১৩.২ ওভারে, ২০০১, বনাম বাংলাদেশ)
৩. ইংল্যান্ড (১৩.৩ ওভারে, ১৯৯৪, বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা)