বাংলা হান্ট ডেস্ক : আত্মনির্ভর ভারত (Self Reliance India)! এই শব্দ বন্ধ ইদানিংকালে খুব বেশি জনপ্রিয় হলেও এর প্রচেষ্টা কিন্তু চলছে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই। কংগ্রেস আমলে প্রত্যকটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (Five Years Planning) এই শব্দের অস্তিত্ব থাকতই। ২০১৪ সালে বদলায় পরিস্থিতি। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ইতিহাস হয়ে যায় পরিকল্পনা কমিশন। শুরু হয় নীতি আয়োগের (NITI Aayog) পথ চলা।
ক্ষমতায় বসেই নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন ভারতকে স্বনির্ভর তৈরি করবেন তিনি। তার জন্যই গ্রহণ করা হয় ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প। তোলা হয় ‘বয়কট চিনা দ্রব্য’ স্লোগানও। ওষুধ থেকে শুরু করে পিপিই কিট পর্যন্ত রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে প্রথম সারির দেশের তালিকায় চলে এসেছে ভারতের নাম। তবে আত্মনির্ভর ভারতের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল প্রতিরক্ষা বিভাগ।
সিপ্রির সর্বশেঢ় রিপোর্টে বলা হয়েছে বিদেশ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আনার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন করেছে ভারত। একটা সময় গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনত, তা সে আমেরিকা হোক বা রাশিয়া বা ফ্রান্স। কিন্তু বিগত ৪ বছরের হুহু করে কমেছে ভারতের অস্ত্র আমদানি। উল্টে ধীরে ধীরে বাড়ছে ভারতের রপ্তানি করা অস্ত্রের পরিমাণও।
গতকাল সিমবায়োসিস আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকস্ব স্মৃতি বক্তব্যে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক বিস্ফোরক দাবি করেন। দেশ গড়তে যুবকদের ভূমিকা বিষয়ক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে ভারত বছরে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করবে। ২০১৪ সালে যখন আত্মনির্ভর ভারতের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল তখন ভারত মাত্র ৯০০ কোটি টাকার সরঞ্জাম রপ্তানি করত। ১০ বছরের মধ্যেই এখন ভারত (India) প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটির (16,000 Crore Indian Rupees) সরঞ্জাম রপ্তানি করে।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ‘এই উন্নতির জন্য দরকার ছিল একটা সুষ্ঠ বাস্তুতন্ত্র। যা আজ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এরই সঙ্গে দরকার আত্মবিশ্বাস। আমরা পারবই। যদি আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকে তাহলে সবকিছু সম্ভব।’ রাজনাথ সিং বলেন তিনি গর্বিত ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগকে নিয়ে।