বাংলাহান্ট ডেস্ক : অদ্ভুত এক কুটনৈতিক চাল দিল ভারত। একদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UNGA) রাশিয়ার (Russia) প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় ভারত (India)। এরপরই সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান করা থেকে আরও একবার বিরত থাকল ভারত। এই অবস্থান প্রসঙ্গে ভারতের জবাব, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এই পদক্ষেপ। তবে এরই পাশাপাশি ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার (Russia – Eukraine War) আক্রমণ আরও তীব্র হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশ।
সম্প্রতি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে (ডনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং জাপোরিজিয়া) অবৈধ ভাবে দখল করে নেয় রাশিয়া। প্রথমে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়। পরে গণভোট করিয়ে নিজের দেশের সঙ্গে সেই অঞ্চলগুলিকে যুক্ত করেন ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই এই সংযুক্তিকরণের বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করে আলবেনিয়া। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই এবার ভোটদান থেকে বিরত থাকল ভারত। এর আগে এই প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে গোপন ব্যালটে ভোটদানের পক্ষে প্রস্তাব আনে রাশিয়া। সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয় ভারত। তারপরই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরোধিতা করল না ভারত।
আন্তর্জাতিক মহলে ইউক্রেনের এলাকা রাশিয়ার দখলদারিতে অধিকাংশ রাষ্ট্র যে অখুশি, তা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ভোটেই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা আলবেনিয়ার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪৩টি। এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৫টি। ১৯৩ সদস্যের সাধারণ সভায় ভারত সহ ৩৫টি দেশ এই ভোটদান থেকে বিরত থাকে।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ ভোটদান থেকে বিরত থাকার প্রসঙ্গে জানান, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাদের সুচিন্তিত জাতীয় অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাছাড়া এই ক্ষেত্রে আরও একাধিক সমস্যা রয়েছে যা এই প্রস্তাবে পরিস্কার করে বলা হয়নি। রুচিরা আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে এটি যুদ্ধের যুগ হতে পারে না। সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচেষ্টা করতে হবে আমাদের সকলকেই। এই দৃঢ় সংকল্পের উপর ভিত্তি করেই ভারত ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তবে এই রাশিয়া বা ইউক্রেনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায় নি।