বাংলাহান্ট ডেস্ক : অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি ভারতে (India) প্রতিদিনই বাড়ছে জ্বালানি গ্যাস ও তেলের বিপুল চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে ভারত সেই সমস্ত রাষ্ট্র থেকেই তেল কিনছে, যেখানে তার আর্থিক ভাবে লাভ হবে। কিন্তু একাধিক রাশিয়া ইরানের মতো দেশ থেকে কেনার ব্যাপারে ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা ডহ একাধিক পশ্চিম বিশ্বের দেশ। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে হেলায় উড়িয়ে রাশিয়া (Russia) ইরান (Iran) থেকে তেল কেনা জারি রেখেছে ভারত।
এর আগে একাধিক বার মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হয় ভারতের উপর। নির্দেশ দেওয়া হয় রাশিয়া এবং ইরান থেকে তেল কিনতে পারবে না দেশ। সেই সময়ে শক্তিশালী আমেরিকার বিরুদ্ধে যেতে চায়নি ভারত। অনেকটাই কমিয়ে দেয় ইরান ও রাশিয়া থেকে তেল কেনা। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময়। আমেরিকার হাজার নিষেধ সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা জারি রাখে ভারত। এবার পরিস্থিতি বদলাল ইরানের ক্ষেত্রেও। ইরান থেকেও কেনা তেলের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দিল ভারত। ইরান থেকে তুলনামূলক ভাবে কিছুটা সস্তায় তেল আমদানি করে দেশ। তাই এর প্রভাব সরাসরি পরবে আম জনতার উপর। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অপরদিকে, আমেরিকার শত্রু রাষ্ট্র ইরান ও রাশিয়ার উপর একাধিক অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা জারি করেছে পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ভারতকেও বলা হয় রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে। আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার কথা শুনে ইরান ও রাশিয়া থেকে তেল কেনা অনেকটাই কমিয়ে দেয় ভারত। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই রাশিয়া ও ইটান থেকে আরও বেশি করে তেল কেনার কথা ঘোষণা করল ভারত।
সম্প্রতি ভারতে কর্মরত ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাজ ইলাহী সরকারকে জানায় ইরান ভারতকে অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে আগ্রহী। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভারত সবচেয়ে বেশি তেল কিনেছে ইরান থেকে। কিন্তু তার পরই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে অনেকটাই কমিয়ে দেয় তেল আমদানি। অক্টোবর মাসেই ভারত ঘোষণা করে একাধিক রাষ্ট্রের থেকেই কেনা হবে তেল।