বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (COVID-19) বিশ্ব জুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের এবং মৃতের সংখ্যা। বিশ্ববাসী প্রাণ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদী (Narendra modi) সরকার ভারতের (India) নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভারত থেকে চীনে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং মাস্ক, গ্লাভস পাঠানো হয়েছিল।
তবে এবার এই পরিস্থিতিতে ভারত চীনের থেকে কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনিতে চাইছে। তবে ভারত টেস্টিং কিট নেবে না, তার বদলে অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন- পিপিই, ভেন্টিলেটরস নেবে বলে ঠিক করেছে। স্পেন, ইউক্রেন, তুর্কির মত দেশ চীনের টেস্টিং কিট ফিরিয়ে দিয়েছে। তার কারণ চীন সমস্ত ত্রুটিপূর্ণ টেস্টিং কিট বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছিল। যার জেরে খারাপ দ্রব্য প্রস্তুত করে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছিল চীনের বিরুদ্ধে। তাই ভারত টেস্টিং কিট না নিয়ে অন্যান্য সরঞ্জাম নিতে চাইছে।
চীন থেকে করোনা ভাইরাস উৎপন্ন হওয়া সত্ত্বেও ভারত চীনের থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী N95 মাস্ক, ভেন্টিলেটর আমদানির উপর জোর দিচ্ছে। শুধুমাত্র বিদেশ থেকে দ্রব্য আমদানি নয়, দেশের মধ্যেকার কোম্পানি গুলোতে বিভিন্ন চিকিতসাদ্রব্য প্রস্তুতির দিকেও জোর দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের রেড ক্রস সোসাইটি চীন থেকে ১০ হাজার পিপিই চেয়েছে। এবং তা চীন ইতিমধ্যেই ডেলিভারি দিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও ৩ লক্ষ পিপিই ৪ ই এপ্রিলের মধ্যেই চলে এসেছে। এবং এছাড়াও ৩ লক্ষ পিপিই তৈরির অর্ডার অর্ডিনেন্স কারখানাতে দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য কয়েকটি দলও গঠন করেছে, যার প্রতিনিধিত্ব করছে বিদেশ মন্ত্রালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি নবীন শ্রীবাস্তব।
সংগঠিত এই দল করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় মাস্ক, ভেন্টিলেটর, পিপিই ইত্যাদি বিদেশ থেকে আমদানি এবং দেশের কোম্পানির মারফত তৈরির বিষয়ে নজরদারি করছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয়ের খবর অনুয়ায়ী, সিঙ্গাপুরের একটি অনলাইন প্লাটফর্মের খোঁজ পাওয়া গেছে যারা, ১০ লক্ষ পিপিই সরবরাহ করতে পারবে। সেই কারণে এই কোম্পানিকে ইতিমধ্যেই অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াও ভারতের আভ্যন্তরীণ সংস্থা মারফত বিভিন চিকিৎসা সরঞ্জাম বানানোর দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আমদানি এবং রপ্তানি ব্যবস্থা বজায় রাখা যায়। এরই মধ্যে ওষুধ নির্মান কোম্পানিগুলো ভারত সরকারকে আশ্বস্ত করেছে যে, ভারতে ওষুধের কোন সমস্যা হবে না। চিকিৎসক কর্মীদেরকেও এর সাথে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে রোগীর সুশ্রসা করতে পারে।