ক্রমশ আরও ধুঁকছে ভারতের অর্থনীতি, আগামী বছরেও বদলানোর আশা নেই, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের অর্থনীতি নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই আশার কথা শোনাএ পারেননি অর্থনীতিবিদরা। একাধিক বার তাঁরা সতর্ক করেছেন দেশের অর্থনীতির শ্লথ হয়ে যাওয়া গতি নিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শও দিয়েছেন কী ভাবে চাঙ্গা করা যায় অর্থনীতি। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে মন্দা চলায় তার কিছুটা প্রভাব পড়ছে ভারতের উপরও। 

দেশের অর্থনীতি ঠিক কেমন গতিতে চলছে তা নিয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কেনাকাটার অবস্থা আরও খারাপের দিকে এগোচ্ছে। ব্লুম্বার্গের ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বরে স্থিতিশীল গতিতে এগোলেও তা খুব একটা বেশি নয়। অর্থাৎ মাঝামাঝি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের অর্থনীতি।

Economic slowdown

বিশ্ব জুড়ে চলা আর্থিক মন্দার কারণে ভারতের রফতানিতেও প্রভাব পড়েছে। গত কয়েক মাসে কমে গিয়েছে রফতানির পরিমাণ। ব্লুম্বার্গের ওই পরিসংখ্যান ২০২৩-এর জন্য খুব একটা ভাল স্থানে দেখাচ্ছে না ভারতের অর্থনীতিকে। উল্লেখ্য, এই পরিসংখ্যান মাপা হয়েছে গত তিন মাসের অর্থনৈতিক গতিবিধির উপর নজর রেখে। 

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, নভেম্বরে উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রে ব্যবসা বাড়লেও তিন মাসের গড় হিসেবে যথেষ্ট দুর্বল। দুই ক্ষেত্রেই নতুন অর্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়েছে হু হু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনটা হওয়ার মূল কারণ মুদ্রাস্ফীতির হার। 

Economic Slowdown

রফতানির ক্ষেত্রে গত মাসে একেবারেই আশানরূপ ফল করতে পারেনি ভারত। অক্টোবরে ১৬.৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল রফতানির হার। গত বছরের তুলনায় মাত্র ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে রফতানি। মোট ৩০টি বিভাগের মধ্যে মাত্র অর্ধেক বিভাগই বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, আমদানি বেড়েছে ৫.৪ শতাংশ হারে। যার ফলে আমদানি-রফতানির মধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়ে গিয়েছে।

Economic Slowdown

ব্যাঙ্ক ক্রেডিটের চাহিদার হার ভাল ফল দেখিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক লোনের উপরে সুদের হার বাড়িয়ে দিলেও ১৭.২ শতাংশ হারে ক্রেডিটের চাহিদা থেকেছে। জিএসটি সংগ্রহ ১১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, শিল্প এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গিয়েছে অনেকটাই। দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে ৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। 


Subhraroop

সম্পর্কিত খবর