বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ সকলেই জানেন যে এই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। টেস্ট ফরম্যাটে তারা প্রথম ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে পারেনি বৃষ্টির কারণে। ওডিআই ফরম্যাটে প্রথম ম্যাচে অনেক কষ্ট জয় পাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জুটেছিল হার। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচ জিতে তারা সিরিজ পকেটে পড়েছিল। এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে গিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল।
এর ফলে তৈরি হয়েছে একটি লজ্জার মাইলফলক। সাম্প্রতিক সময়ে সকলেই জানে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের শক্তি হারিয়েছে ক্রিকেটে। তারা গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এমন একটি দলের বিরুদ্ধে ভারতকে কেন এত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
শেষবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পরপর দুটি ম্যাচ হারার ঘটনা ভারতের ক্ষেত্রে ঘটেছিল ২০১১ সালে ধোনির অধিনায়কত্বের প্রথম দিকে। তারপর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রমাগত দুর্বল হয়ে গিয়েছে এবং ভারত হয়েছে শক্তিশালী। তারপরেও ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ভারতকে কেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পরপর দুটি ম্যাচ হারতে হচ্ছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন অনেক ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকই।
দাবি করেছিলেন যে ভারতের এখন ক্ষমতা আছে তিনটি টুর্নামেন্টে তিনটি ভিন্ন দল নামানোর এবং প্রত্যেকটি দলই সেই টুর্নামেন্ট দিতে ভারতকে গর্বিত করতে পারবে। কিন্তু তার সেই দাবি যে সঠিক ছিল না সেটা এই তরুণদের দিয়ে করা অনভিজ্ঞ ভারত দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই প্রমাণ করে দিল। বিশ্বকাপের আগে বিষয়টি চিন্তায় রাখছেন সমর্থকদের।
ভারতের মিডল অর্ডার এই মুহূর্তে একদম নড়বড়ে। হার্দিক পান্ডিয়া চোট কাটিয়ে ফেরার পর থেকে একজন ফিনিশারের মতন খেলতে পারেন না। তিনি মূলত টপ অর্ডারে ব্যাট করেই সফল। কিন্তু এই সিরিজে তাকে খেলতে হচ্ছে নিচের দিকে। সূর্যকুমার যাদব ফিনিশিংয়ের কাজ করতে পারেন, কিন্তু তাকে ব্যাটিং করতে পাঠানো হচ্ছে তিন নম্বরে। এর জন্য অনেকে দোষ দিচ্ছেন ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে।