বাংলাহান্ট ডেস্ক : রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি হল ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারে। সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে এমনই চমকে দেওয়া তথ্য দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) জানিয়েছে, ১৪ই মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০৫ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ৬৫৪.২৭১ বিলিয়ন ডলারে। তার আগের সপ্তাহে ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারে যুক্ত হয় ১৫.২৬৭ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল গত দুই বছরের মধ্যে সর্বাধিক সাপ্তাহিক বৃদ্ধি।
ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারে বৃদ্ধি
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) সাম্প্রতিকতম তথ্য অনুযায়ী, ৯৬ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (FCA) পৌঁছেছে ৫৫৭.১৮৬ বিলিয়ন ডলারে (এফসিএ-তে ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যের ওঠানামার প্রভাব অন্তর্ভুক্ত)। পাশাপাশি, ৬৬ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪.৩৯১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে ভারতের গোল্ড রিজার্ভের পরিমাণ। একইসাথে ৫১ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে আইএমএফের সাথে বিশেষ অঙ্কন অধিকারের (এসডিআর) পরিমাণ ছুঁয়েছে ১৮.২৬২ বিলিয়ন ডলারের গণ্ডি।
আরও পড়ুন : আরজিকর সংক্রান্ত সব ভিডিও গায়েব! রাতারাতি সব কনটেন্ট মুছে দিলেন ‘বং গাই’ কিরণ?
বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির নেপথ্যে একাধিক কারণ দেখছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বৈদেশিক বিনিয়োগ। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছেন ভারতীয় শেয়ার মার্কেটে। পাশাপাশি ভারতের (India) রপ্তানি খাতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বিশেষ প্রভাব ফেলছে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন : রাজ্য সভাপতি নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা! এরই মধ্যে দিলীপ বললেন, ‘পার্টি কি করবে?’
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তথ্যপ্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে রপ্তানি। একইসাথে রেমিট্যান্সের প্রভাবও যথেষ্ট ইতিবাচক বার্তা বহন করছে বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধির নেপথ্যে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের আরও মত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মুদ্রার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, যা বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছিল বেশ কিছুটা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভারতীয় মুদ্রার স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু পরিমাণ ডলার বিক্রি করেছিল আরবিআই। সেই কারণে সাময়িকভাবে হ্রাস পায় বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার। তবে মার্চ মাসে সেই খামতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।