ধোপে টিকলো না মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, ইউরোপের আপত্তিও! রাশিয়ার তেল কিনে ‘বড়লোক’ ভারত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বর্ষপুর্তি হয়ে গেল রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধের। কিন্তু থামার নাম নেই যুদ্ধ। বেড়েই চলেছে ক্ষয়ক্ষতির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া হঠৎই ইউক্রেন আক্রমণ করে। এরপরই পুতিনের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু হলে কি হবে দেশটি যে রাশিয়া! সরাসরি তাকে চোখ রাঙানোর সাহস কার রয়েছে? আমেরিকা এবং পশ্চিমে তার বন্ধু দেশগুলি যুদ্ধের প্রাথমিক ভাবে বিরোধিতা করে। সরাসরি আক্রমণ না করে পুতিনের দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক পদক্ষেপ করে রাষ্ট্রগুলি।

আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলি রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল করার পরিকল্পনা করে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। হোয়াইট হাউসের আপত্তিতে অনেক দেশই রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ব্যতিক্রমী ভারত। নয়াদিল্লি পরিষ্কার জানিয়ে দেয় দেশের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে যেখানে কম দামে পাবে সেখান তেল কিনবে। বলাইবাহুল্য, বর্তামান ভারতকে দাবিয়ে রাখার সাহস দেখায়নি আমেরিকাও।

modi putin oil

ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানান, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে যুদ্ধের বাজারেও রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনবে ভারত। অবশ্য ভারত ইউক্রেন যুদ্ধকে সমর্থন করে না বলেও দাবি করেন তিনি। পরিসংখ্যান বলছে, যুদ্ধের পর রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।

এই মুহুর্তে পশ্চিম এশিয়া এবং আমেরিকা থেকে ভারত যে তেল কিনত, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি তেল কেনা হচ্ছে পুতিনের দেশ থেকে।
রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, বেশ চড়া দামে বিদেশেও তা রফতানি করেছে। অদ্ভুত ভাবে ভারত থেকে রাশিয়ার তেল পৌঁছেছে আমেরিকাতেও। জানুয়ারিতেই প্রায় ৮৯ হাজার ব্যারেল ডিজ়েল ভারত থেকে নিউ ইয়র্কে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব ভাল। তাই মস্কো থেকে তেল কিনলেও বিশেষ আপত্তি নেই ওয়াশিংটনের।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর