লাদাখ বিবাদের জের, চীন থেকে ১৬% আমদানি কমাল ভারত, বাড়ল রপ্তানি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লাদাখ (Ladakh) সীমান্ত নিয়ে বেড়ে চলা বিবাদের পর ভারত (India) চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। সেই ক্রমে ভারত চীনের সাথে অনেক ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে এবং চীনের মোবাইল অ্যাপস গুলোকে দেশে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় ব্যবসায়ী আর আম জনতা চীনের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে বেজিংকে বড়সড় ঝটকা দিয়েছিল।

china 51

এবার ভারত চীনকে আরও একটি বড় ঝটকা দিল। ভারত বিগত কয়েক মাসে চীনের থেকে আমদানি কম করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারত আমদানি কম করে দিয়ে চীনে ভারতীয় সামগ্রীর আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে। জানিয়ে দিই, ভারতের তরফ থেকে চীনকে ২০২০ এর আগে ১১ মাসে করা রপ্তানি ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও, এই সময়ে সীমান্ত বিবাদ আর করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেকবার দুই দেশ একে অপরের বিরোধী হয়ে উঠেছিল। চীনের মিডিয়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বিবাদের কারণে ভারত চীনের থেকে আমদানি ১৩ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।

চীনের মিডিয়া দাবি করেছে যে, রাষ্ট্রপতি জিনপিংয়ের সরকার পূর্ব লাদাখের বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণ রেখায় গতিরোধের মামলায় কোনও ভাবে রাজনীতিকরণ করেনি। কিন্তু নয়া দিল্লী চীনের থেকে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে আর চীনের অ্যাপ ব্যান করে দিয়েছে। আরেকদিকে, চীনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে যে, করোনা মহামারীর কারণে ভারতে প্রয়োজনীয়তা কমেছে। আর এই কারণে চীন থেকে ভারতে রপ্তানি কম হয়েছে।

সোমবার জারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে প্রায় ৫৯ বিলিয়ন ডলারের সামগ্রী রপ্তানি করেছে। যেটা গতবারের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম। যদিও এই বছরের শুরুতে ভারত চীনের থেকে ১৬.২ শতাংশ সামগ্রী আমদানি করেছিল। তসেটার তুলনায় ১৩ শতাংশ কম আমদানি চীনের কাছে একটু হলেও শুভ সংবাদ।

আরেকদিকে, ভারত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি সামগ্রী চীনে রপ্তানি করেছে। এই পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে যে, চীন প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কে রাজনীতিকরণ এড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে এটি চীনের প্রতি ভারত সরকারের ক্রমবর্ধমান ‘পক্ষপাতমূলক মনোভাব’ এর কারণেই এটি হয়েছে।

তুলনামূলকভাবে, চীন রাজনৈতিক জটলা সত্ত্বেও ভারতের থেকে আরও বেশি আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের থেকে চীনের আমদানি প্রথম ১১ মাসে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের ছিল, সেখানে আবার ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেইজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসের সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে চীনা জৈব রাসায়নিক, সার এবং অ্যান্টিবায়োটিকের বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য ছিল ভারত।

 


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর