বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত বিবাদের মধ্যে ভারত (India) চীনকে (China) আরও একটি ঝটকা দিলো। সরকার এবার দিল্লী-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে (Delhi-Mumbai Expressway) প্রোজেক্ট থেকে দুটি চীনের কোম্পানির কন্ট্রাক্ট রদ করে দিলো। এই কন্ট্রাক্ট প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ছিল। এই কোম্পানি গুলোকে আধিকারিকরা লেটার অফ অ্যাওয়ার্ড দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। আর এবার এই কন্ট্রাক্ট সবথেকে কম টেন্ডার ভরা অন্য কোম্পানিকে দেওয়া হবে। এই কন্ট্রাক্ট দিল্লী-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ছিল। দিল্লী-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ১ হাজার ২৬১ কিমি। আর এই রাস্তা বানানোর জন্য প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবে সরকার।
একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ন্যাশানাল হাইওয়ে এবং সড়ক পরিবহণ মন্ত্রালয় প্রায় ৮০০ কোটি টাকার একটি কন্ট্রাক্ট রদ করে দিয়েছে। দুটি কোম্পানি বিড করায় সফল হয়েছিল, এরপরেও তাঁদের লেটার অফ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়নি। এই কন্ট্রাক্ট এখন অন্য কোম্পানিকে দেওয়া হবে।
এক লক্ষ কোটি টাকার দিল্লী-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে সমেত ২২ টি ন্যাশানাল হাইওয়েতে কাজ চলছে। এই এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রার সময় কমিয়ে ২৮ ঘণ্টা করে দেবে। এর আগে ৪৮ থেকে ৫০ ঘণ্টা লাগত সড়কের মাধ্যমে দিল্লী থেকে মুম্বাই যেতে। আপনাদের জানিয়ে দিই, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি ঘোষণা করেছিলেন যে, চীনের কোম্পানিকে হাইওয়ে প্রোজেক্ট থেকে বের করে দেওয়া হবে। গড়কড়ি বলেছিলেন যে, এবার থেকে আর দেশে চীনের কোম্পানি গুলোকে কাজ দেওয়া হবে না।
দিল্লী-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে ভারতমালা প্রকল্পের (Bharatmala Project) প্রথম ধাপ। ভারতমালা প্রকল্প অনুযায়ী, ৩৪ হাজার ৮০০ কিমি ন্যাশানাল হাইওয়ে বানানো হবে। ২০১৭ থেকে এই প্রোজেক্টে কাজ শুরু হয়েছে। আর ২০২২ এর মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার কথা। যদিও, প্রথম পর্যায়ের কাজই দুই বছর পিছিয়ে গেছে। দিল্লী-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে ২০২২ এর জায়গায় ২০২৩-২৪ এর মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।
এর আগে ভারতীয় রেলওয়ে চীনের একটি কোম্পানিকে ৪৭১ কোটি টাকার একটি প্রোজেক্ট থেকে বের করে দিয়েছিল। কনফাডেরশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) ১০ জুন থেকে দিল্লী সমেত দেশের প্রতিটি অংশে ভারতীয় সামগ্রী ব্যবহার করা আর চীনের সামগ্রী বহিষ্কার করার অভিযান শুরু করেছে। CAIT দাবি জানিয়েছে যে, এবার রাখিতে শুধুমাত্র ভারতীয় রাখির ব্যবহার করে চীনকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ধাক্কা দেবে।