অমিত সরকার –চাঁদের অন্ধকার তম দক্ষিণ মেরুতে বিক্রম কে নামাতে চেয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ভারতকে এক নতুন আলোর দিশা দেখাতে চেয়েছিলেন তিনি। নিজের জীবনের অন্ধকারময় দিনগুলো ঠিক সেই দক্ষিণ মেরুর মতোই হানা দেয় মাঝেমাঝে তার মনে কিন্তু কখনো বিক্রমের মতনই ভেঙে পড়েননি, আরো বিক্রমশালী হয়ে উঠেছিলেন।
তিনি বলেন বিজ্ঞানের বলে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার নাগেরকয়েল গ্রামের এক দরিদ্র প্রান্তিক চাষির ছেলে কৈলাসাবাদিভু সিবন বা কে সিবন কলেজে ওঠার আগে পর্যন্ত চপ্পল কেনার টাকা না থাকায় খালি পায়ে ঘুরতেন।
সিবন জানালেন, ‘ম্যাড্রাস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম চপ্পল পরি। এমনকি সম্পূর্ণ কলেজজীবনেও প্যান্ট কেনার টাকা না থাকায় ধুতি পরেই কাটিয়েছি।’
কথায় বলে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। ডঃ কে শিবনের জীবনে যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় সেই কথা। এক সময়ে বাবার সঙ্গে আম বাগানে কাজ করতেন আজকের ইসরো প্রধান। পড়াশোনার ফাঁকে সময় পেলেই চাষে সাহায্য করতেন বাবাকে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এমনটাই জানিয়েছিলেন ইসরো প্রধান। শুধু তাই নয়, কে শিবনের ছাত্রাবস্থাও কেটেছে সাদামাটাভাবেই। মজার ছলে জানিয়েছিলেন ইসরোর প্রধান, “কলেজে ওঠার আগে সেভাবে জুতো পরিনি। প্যান্টও ছিল না একটাও। ধুতি পরতাম।”
নিজের পছন্দের চাকরি কখনও পাননি। কিন্তু যেটা পেয়েছেন সেটাই মনোযোগ সহকারে করে আজ চাঁদের বুকে ভারতের নাম লিখে দিলেন কন্যাকুমারীর এক অখ্যাত গ্রাম নাগেরকয়েলের ভূমিপুত্র কৈলাসাবাদিভু সিবন