বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাস্তায় বেরোলেই এখন ওলা উবেরের বাড়বাড়ন্ত। কলকাতার বুক থেকে হলুদ ট্যাক্সি প্রায় উবে যেতে বসেছে। তাদের জায়গা নিচ্ছে ওলা উবেরের মতো অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি। তবে এই অ্যাপ ক্যাবগুলির দৌরাত্ম্যও দিন দিন বেড়েই চলেছে, যার জেরে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ। এমতাবস্থায় এক দারুণ ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। কেন্দ্রীয় সরকারের (India) তরফেই এবার চালু করা হবে এক বিশেষ ট্যাক্সি সার্ভিস, যার জেরে উপকৃত হবে চালকরাও।
বিশেষ ট্যাক্সি সার্ভিস চালু করছে কেন্দ্রীয় সরকার (India)
ভারত (India) সরকারের তরফে খুব শীঘ্রই কো অপারেটিভ ভিত্তিতে ট্যাক্সি সার্ভিস শুরু হতে চলেছে। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সহকার ট্যাক্সি’। ওলা উবেরের দখলীকৃত বাজারে এই নয়া ট্যাক্সি সার্ভিস যে বড়সড় ঝড় তুলে দিতে চলেছে তা এখন থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছে। এই নয়া ট্যাক্সি সার্ভিসের আওতায় চার চাকার ট্যাক্সি যেমন মিলবে, তেমনি পাওয়া যাবে টু হুইলার ট্যাক্সি, রিকশার পরিষেবাও।
কী জানান অমিত শাহ: বুধবার সংসদে (India) এই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ। এই উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কো অপারেটিভ ভিত্তিতে একটি সরকারি ট্যাক্সি সার্ভিস শুরু হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। টু হুইলার, ফোর হুইলার ট্যাক্সির সঙ্গে রিকশা পরিষেবাও (India) থাকবে এর মধ্যে। তবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাগুলির মতো এক্ষেত্রে লাভের অংশ কোনো বড় শিল্পপতির পকেটে নয়, ঢুকবে চালকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
আরো পড়ুন : প্রসেনজিৎ নন, ‘মহানায়ক’ দেব-ও বাদ, বাংলা ছবিতেই ১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন এই জনপ্রিয় হিরো!
ক্যাব বাজারে বড় বদল: একথা সকলেই স্বীকার করবেন, বর্তমানে অ্যাপ ক্যাবের বাড়তে থাকা বাজারে কার্যত একচ্ছত্র রাজত্ব করছে ওলা উবেরের মতো সংস্থাগুলি। বাজার ধরতে গেলে এই সংস্থাগুলির সঙ্গে মুখোমুখি প্রতিযোগিতায় নামতে হবে সরকারি (India) ট্যাক্সি সার্ভিসকে। অ্যাপ ক্যাবের সরবরাহ কম থাকায় যে সংস্থাগুলির বাড় বৃদ্ধি বেশি হবে, ইন্টারনেট কানেকশন আরো শক্তিশালী হবে, সেই সংস্থাগুলি বেশি লাভজনক হবে।
আরো পড়ুন : মোদীর ডাকে সাড়া! ভারত সফরে আসছেন পুতিন, জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি
রিপোর্ট বলছে, ভারতে (India) ট্যাক্সি বাজার বর্তমানে রয়েছে ২৩.৪০ বিলিয়ন ডলারে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৪.১৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলায় আগে থেকেই রয়েছে রাজ্য সরকারের ‘যাত্রী সাথী’। অ্যাপ ক্যাবের উপলব্ধতা, বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষার সুবিধা থাকায় হু হু করে জনপ্রিয়তা বাড়ছে যাত্রী সাথীর। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি, আসানসোল, দুর্গাপুরে পৌঁছে গিয়েছে এই সরকারি অ্যাপ ক্যাব। অন্যদিকে কর্ণাটকেও ‘নাম্মা যাত্রী’ নামে একই ধরণের অ্যাপ ক্যাব উপলব্ধ রয়েছে। এখানেও লাভের অংশ সরাসরি পেয়ে থাকেন গাড়ির চালকরা।