বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা ভারত (India) জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু রাস্তা (Road)। যা যুক্ত করেছে একাধিক শহর, গ্রামকে। একসাথে জুড়েছে কৃষি ও শিল্পকে। ভারতের মত একটি জনবহুল দেশে রেলপথের পাশাপাশি এই সড়কপথই হল পরিবহণের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। প্রযুক্তি যত উন্নত হয়েছে তত উন্নত হয়েছে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা (National Highway)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের মত এক কৃষিপ্রধান দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা। যে কারণে গোটা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৬০০ টি জাতীয় সড়ক। এই জাতীয় সড়কগুলির সুদীর্ঘ পথে পড়ে নানা শহর, নানা কৃষি প্রধান অঞ্চল, নানা শিল্পাঞ্চল। আবার পাহাড়ি এলাকা, সমুদ্রের ধার, জঙ্গলের সৌন্দর্যও নজরে আসে।
তবে এই সড়কগুলিকে ঘিরেও যে কত রহস্য আছে সেটা জানা আছে কি? দেশের জাতীয় সড়ক সম্পর্কে এমন অনেক অজানা তথ্য রয়েছে যা শুনলে অবাক হতে হয় বৈকি। এরকমই এক রহস্যে ভরা জাতীয় সড়ক হল ন্যাশনাল হাইওয়ে ৭ (National Highway 7) নামে। যদিও বর্তমানে এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
শুনলে অবাক হবেন যে, এই সড়ক ধরে যাত্রা শুরু করলে আপনি পাহাড়, বরফ, সাগর, নদী, মরুভূমি সবকিছুই দেখতে পাবেন। প্রকৃতির সৃষ্টি করা সমস্ত সৌন্দর্যই রয়েছে ভারতের এই জাতীয় সড়কের আশেপাশে। দেশের সবচেয়ে লম্বা জাতীয় সড়কটি আবার মানুষকে বরফের দেশ থেকে পৌঁছে দিচ্ছে সমুদ্রের ত্রিবেণী সঙ্গমে।
বর্তমানে এই সড়কটির নাম ন্যাশনাল হাইওয়ে ৪৪ (National Highway 44)। এটি মূলত উত্তরের জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে শুরু হয়ে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ প্রান্তের শেষ বিন্দু কন্যাকুমারী-তে। মাঝে পার করেছে মোট ১১ টি রাজ্য। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু এইসমস্ত রাজ্যকে একসাথে যুক্ত করেছে ৪ হাজার ১১২ কিলোমিটারের একটি কালো পিচের রাস্তা।
তাই এটি আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, দেশের একাধিক ঐতিহাসিক জায়গার সাক্ষী রাস্তা। সে কাশ্মীরের তুষারাবৃত এলাকা হোক কী হিমাচলের পাহাড়। বাদ নেই রাজস্থানের মরুভূমি ও কন্যাকুমারীর সাগর। এটি এমন একটি সড়ক যে ,দেশের এতগুলো বৈচিত্র্যময় স্থানকে একসাথে জুড়েছে। এমনটা সচরাচর নজরে আসেনা। চাইলে আপনিও একবার ঘুরে আসতে পারেন এই রাস্তায়।