ভারত নিজের শহীদ সেনাদের সন্মান দিয়েছে কিন্তু চীন দেয়নিঃ ক্ষোভ প্রকাশ চীনা নাগরিকদের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের পরবর্তী পরিস্থিতিতে চীনকে (China) সমগ্র বিশ্ব কোণঠাসা করে রেখেছে। আবার এরই মধ্যে ভারত (India) বিরোধী মনোভাব হওয়ায় বর্তমানে চীনকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোটা ভারতবাসী। চীনের এই নিম্ন মানসিকতার কারণে ধীরে ধীরে কমিউনিস্ট পার্টিতে রাষ্ট্রপতি জিনপিং-এর অবস্থান ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকছে। এমনকি দল মধ্যস্থ নেতারাই জিনপিং-এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে।

চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়ান কিসান এই জিনপিং বিরোধী মনভাবকে আরও দৃঢ় করছে। সাধারণ মানুষের মনেও রাষ্ট্রপতি বিরোধী মনোভাব দেখা দিচ্ছে। যার ফলে চীন সরকার এখন নিজের দেশের নাগরিকদের দ্বারাই অপমানিত হচ্ছেন।

jinping 1 1

ভারত চীনের সংঘর্ষের ভিডিও
প্রথম থেকেই শি জিনপিং ভারত, তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ চীন সাগরে নিজের আধিপত্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন এর মাধ্যমে নাগরিকরা অর্থনীতির দিকে গুরুত্ব না দিয়ে সংঘর্ষের দিকে বেশি জোর দেবে। তবে এরই মধ্যে গলওয়ান সীমান্ত অঞ্চলে ভারত চীন সংঘর্ষের বেশ কিছুদিন আগে স্যোশাল মিডিয়ায় প্রাকাশিত একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল, চীনা আর্মিকে মেরে কাত করে দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এবং সঙ্গে থাকা বাকি চীনা সেনারা তাদের ফেলে পালিয়ে যায়। এই ভিডিও প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই ভাইরাল হয়ে যায়। এবং দিকে দিকে প্রশ্ন উঠতে থাকে, যারা বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী বলে নিজেদের মনে করে, তারা কেন ভারতীয় সেনার কাছে মার খাচ্ছে। তৎক্ষণাৎ স্যোশাল মিডিয়া থেকে সেই ভিডিও সরিয়ে নেয় চীন সরকার।

পরিকল্পনা করে আচমকাই হামলা চালায় চীন
এরপর চীন সরকার এবং ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের জেনারেল কমান্ডার দুজনে পরিকল্পনা করে, ধোঁকাবাজির মাধ্যমে তারা ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে নিজের দেশের নাগরিকদের কাছে নিজেদের ক্ষমতাশীল বলে প্রমাণ করবে। সেই মত তারা গত ১৫ ই জুন সীমান্ত এলাকায় বৈঠক চলাকালীন আচমকাই ভারতীয় সেনাদের উপর হামলা চালিয়ে ২০ জন জওয়ানকে হত্যা করে। এবং ৪৩ চাইনিজ সেনাও খতম হয়।

PLA 696x392 1

 

চীনের মূর্খতা
কিন্তু চীনের এই মূর্খতাই চীনের উপর পাল্টা আঘাত আসতে থাকে।  চীন তাঁদের সেনাদের মৃত্যুর খবর সকলের থেকে গোপন রাখতে চায়। তারা পাকিস্তানের মতই মূর্খামি করে জানায় তাঁদের কোন সেনাই মারা যায়নি। কিন্তু ভারত সরকার তার দেশের সেনাদের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নেওয়ায়, চীনা নাগরিকরা চীন সরকারের বিপক্ষে এবং ভারত সরকাররে পক্ষে সোচ্চার হয়।

চীনা সেনাদের ভারতের সাহায্য
এমনকি সংঘর্ষে মৃত চীনা সেনাদের গোপনে লাদাখে কবর দিয়ে দেয় চীন সরকার। এমনকি তাঁদের পরিবারকেও জানাতে দেয় না। সব কিছু মিলিয়ে বর্তমানে চীনা নাগরিকদের ক্ষোভের স্বীকার হচ্ছে রাষ্ট্রপতি জিনপিং। ২০১৫ সালের যুদ্ধের সময় সুদানে চীনা সেনাদের জীবনও বাঁচিয়েছিল ভারতীয় সেনারা। তাঁদের ঘাঁটি থেকে নিরাপদে তাঁদের ছাউনিতে ফিরিয়েও দিয়েছিল।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর