বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের চিনকে (China) টেক্কা দিল ভারত (India)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে চিনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। এমতাবস্থায়, চিনকে পেছনে ফেলে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক যোগাযোগের দেশে পরিণত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আমেরিকা (America) এখনও শীর্ষস্থানে রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকাতে ৬৮ লক্ষ কিলোমিটারের সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। যেখানে ভারতে ৬৩.৭ লক্ষ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। চিনে এই পরিসংখ্যান হল ৫১.৯ লক্ষ কিলোমিটার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান সময়ে ভারতে খুব দ্রুত গতিতে সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। গত কয়েক বছরে প্রচুর হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দেশে সড়কের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। পাশাপাশি, বহু সড়কের সংস্কার করা হয়েছে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে, সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, আগামী সময়ে ভারতের রাস্তা আমেরিকার রাস্তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে।
দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছেছে ভারত: ইতিমধ্যেই চিনকে পেছনে ফেলে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক নেটওয়ার্কের দেশে পরিণত হওয়ায় সড়ক নেটওয়ার্কের দিক থেকে বিশ্বের এক নম্বর দেশ হতে এখন মাত্র কয়েক ধাপ দূরে রয়েছে আমাদের দেশ। বর্তমানে ভারতে থেকে আমেরিকার তুলনায় ৫ লক্ষ কিলোমিটার কম রাস্তা রয়েছে। এমতাবস্থায়, ভারত যদি ৫ লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে তাহলে এই পরিসংখ্যানের দিক থেকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! এবার ধেয়ে আসছে জোড়া সৌরঝড়, ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কায় ঘুম উড়ল সবার
জানিয়ে রাখি যে, ২০১৪ সাল থেকে, ভারত তার সড়ক নেটওয়ার্ক প্রায় ১.৫ লক্ষ কিলোমিটার প্রসারিত করেছে। শুধুমাত্র রাস্তা নির্মাণের কারণেই ভারত এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। এদিকে সড়ক নির্মাণ ছাড়াও ভারত একাধিক রেকর্ড করেছে। যেখানে মাত্র ১০০ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের নজিরও তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের নতুন জার্সিতে আছে একটি তারা! এর সাথে লুকিয়ে রয়েছে গৌরবের ইতিহাস
গত বছর, NHAI প্রায় ১০৬ ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা তৈরি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করেছিল। এদিকে, গত ৯ বছরে সরকার টোল আদায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। টোল আদায়ের ক্ষেত্রে দীর্ঘ লাইন থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে FASTag-এর মতো প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। যার কারণে টোলগুলিতে এখন প্রায় জ্যাম থাকে না বললেই চলে।