বাংলাহান্ট ডেস্ক : বহু ভারতীয় নাগরিক পড়াশোনার জন্য বা কর্মসূত্রে বসবাস করেন বিদেশে। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকরা যে অর্থ দেশে পাঠান তাকেই এক কথায় বলা হয় ‘রেমিট্যান্স।’ অস্থায়ীভাবে বিদেশে কর্মরত এই পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরেই বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে দেশে। সমৃদ্ধ হয় ভারতের (India) অর্থনীতি।
ভারতে (India) যে রেমিট্যান্স আসছে তার হিসাব
বিদেশে কর্মরত ভারতীয় পরিযায়ী কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই শ্রমিক। মূলত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ওমান এবং বাহরিনের মতো উপসাগরীয় দেশগুলিতেই পাড়ি জমান অধিকাংশ ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিক। তবে পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক অতীতে লক্ষণীয়ভাবে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে এই প্রবণতায়।
আরও পড়ুন : “সত্যি বললেই জেল বা খুন”, রুদ্রনীলকে টক শোতে ডাকাটাই কাল, যা হল বাংলাদেশি অভিনেতার সঙ্গে…
একাধিক রিপোর্ট দাবি করছে, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি থেকে উপসাগরীয় দেশগুলিতে যাওয়ার প্রবণতা কমেছে অনেকটাই। আবার উল্টোদিকে, একাধিক উপসাগরীয় দেশে কাজের সন্ধানে পাড়ি জমানোর শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে। সাম্প্রতিক কিছু তথ্য বলছে, উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে ভারতে (India) আসা রেমিট্যান্সের (Remittance) পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে লক্ষণীয়ভাবে।
আরও পড়ুন : ‘বাংলার মেয়ে’র লন্ডন সফর! বিদেশেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন মমতা? বড় হুঁশিয়ারি কুণালের
অন্যদিকে, গত কয়েক বছরে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা এবং সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশগুলি থেকে রেমিট্যান্সের পরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ভারতে আসা মোট রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবদান ছিল ২৬.৯%, সেটাই ২০২৩-২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১৯.২ শতাংশে।
সৌদি আরব থেকে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১১.৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৬.৭ শতাংশ। পাশাপাশি, কুয়েত থেকে আসা রেমিট্যান্স ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে পৌঁছেছে ৩.৯ শতাংশে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে আমেরিকা-ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশগুলি থেকে ভারতে (India) আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে গত কয়েক বছরে।
আমেরিকা থেকে ভারতে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২২.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে পৌঁছেছে ২৭.৭ শতাংশে। অন্যদিকে, ভারতীয় অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ৩.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ব্রিটেনের অবদান পৌঁছেছে ১০.৮ শতাংশে। পাশাপাশি, কানাডা থেকে ভারতে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৮ শতাংশে।