বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে আয়োজিত ‘India Ideas Conclave 2020″ অনুষ্ঠানে বলিউড গায়ক আদনান সামি (Adnan Sami) নাগরিকতা আইন নিয়ে বলেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে আমি ভারতে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করি।” উল্লেখ্য, আমির খানের (Amir Khan) একটি পুরনো বয়ান নিয়ে আদনান সামিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যেখানে আমির খান বলেছিলেন যে, ওনার স্ত্রী ওনাকে বলেছেন যে সে নিজেকে ভারতে অসুরক্ষিত মনে করে। সে নিজের বাচ্চাদের নিয়ে দেশের বাইরে চলে যেতে চায়। এরপর আমির খানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর হাঙ্গামা হয়েছিল।
Adnan Sami at 'India Ideas Conclave 2020', when asked 'Aamir Khan says he feels unsafe in India. Does he feel (Sami) safe & what’s his opinion on the Citizenship Amendment Act?': As a Muslim, I feel safe in India. So that answers the question of anyone feeling unsafe in India… pic.twitter.com/X0y4AgVgNx
— ANI (@ANI) February 28, 2020
এমনও শোনা গেছিল যে, আমির খান নিজের এই বয়ানের পর অনেক ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছিলেন। অনেক কোম্পানি ওয়ান্র সাথে কন্ট্রাক্ট শেষ করে দিয়েছিল। এই বিষয়েই আদনান সামিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সুরক্ষা নিয়ে আমার কোন সমস্য নেই। উনি পরিস্কার জানিয়ে দেন যে তিনি ভারতে সম্পূর্ণ ভাবে সুরক্ষিত।
উল্লেখনীয় বিগত কয়েকমাস ধরে ভারত সরকারের তরফ থেকে লাগু করা নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে চারিদিকে বিরোধ প্রদর্শন হচ্ছে। দিল্লীর শাহিনবাগে দুই মাসের উপরে মহিলারা রাস্তায় বসে ধরনা প্রদর্শন করছে। সিএএ এর বিরোধিতার কারণে দিল্লীর অনেক অংশে দাঙ্গাও ছড়িয়েছে। আপানদের জানিয়ে দিই, সিএএ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, ইসাই আর পারসিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
বিরোধীরা এই আইনকে কালা আইন আর মুসলিম বিরোধী আইন বলে গোটা দেশে প্রচার চালাচ্ছে। আরেকদিকে ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে যে, এই আইনের কারণে কোন ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকতা কেড়ে নেওয়া হবেনা। এই আইন কারোর নাগরিকতা কাড়ার জন্য না। এই আইনের সমর্থনে বলিউডের অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রীদের মতন আদনান সামিও মুখ খুলেছেন।
আপনাদের জানিয়ে দিই, তিনি মূল রুপে পাকিস্তানি। কিন্তু তিনি ২০০১ থেকে ভারতেই রয়েছেন। উনি কংগ্রেস সরকারের কাছে ভারতের নাগরিকতার জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কংগ্রেস সরকার ওনাকে নাগরিকতা দেয়নি। এরপর তিনি আরেকবার নাগরিকতার জন্য আবেদন করলে তৎকালীন বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ওনার সাহায্যে এগিয়ে আসে আর ওনাকে নাগরিকতা দেন।