বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান অনুপ্রবেশ মোকাবিলায় ভারত (India) যথেষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, এজন্য ভারত তার সাবমেরিনের বহরকে পুরোপুরি সজ্জিত করতে ব্যস্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পারমাণবিক জ্বালানিতে চালিত এবং পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত সাবমেরিন তৈরির দিকে ভারত যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে। এই প্রচেষ্টার সাফল্যের পরে, ভারত (India) তার দ্বিতীয় পরমাণু চালিত সাবমেরিন চালু করতে প্রস্তুত। জানা গিয়েছে যে, যেকোনও ধরণের যুদ্ধের জন্য এই সাবমেরিন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত। পাশাপাশি প্রচলিত অস্ত্রে সজ্জিত দু’টি পারমাণবিক শক্তিচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন নির্মাণের প্রকল্পও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সমুদ্রে এবার রাজ করবে ভারত (India):
উল্লেখ্য যে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন দ্রুত তার নৌ উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। বিষয়টির মোকাবিলায় ভারত (India) তাদের প্রস্তুতি জোরদার করেছে। ভাইজাগ শিপ-বিল্ডিং সেন্টারে (SBC) নির্মিত ৬,০০০ টন ওজনের INS আরিঘাট (INS Arighat) দীর্ঘ সময়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার জন্য প্রস্তুত। ওই পরীক্ষার সময়কালে, কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা সামনে এলেও সেগুলিকে দীর্ঘমেয়াদী আপগ্রেডের সাথে সমাধান করা হয়।
বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে, “টাইমস অফ ইন্ডিয়া”-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত এবং পারমাণবিক জ্বালানিতে চালিত সাবমেরিন INS আরিঘাট ১ বা ২ মাসের মধ্যে চালু করা হবে। তারপরে সেটি INS আরিহন্তের সাথে যুক্ত হবে। যেটি ২০১৮ সালে সম্পূর্ণরূপে চালু হয়েছিল।”
আরও পড়ুন: চিনের সাথে বাড়ছে দূরত্ব? মুইজ্জুর বক্তব্য শুনে খুশিতে মাতল ভারত, রেগে লাল ড্রাগন
শীঘ্রই ২ টি সাবমেরিনের নতুন প্রকল্পের অনুমোদন: এর পাশাপাশি, ভারত শীঘ্রই পারমাণবিক জ্বালানিতে চলতে সক্ষম প্রচলিত এবং অ-পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত ২ টি সাবমেরিন নির্মাণের প্রকল্পের অনুমোদন দিতে পারে। এই ২ টি সাবমেরিনেই থাকবে টর্পেডো, অ্যান্টি-শিপ এবং ল্যান্ড অ্যাটাক মিসাইল। প্রায় ৪০,০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন বেশ কয়েকটি যাচাই-বাছাই এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের বিবেচনার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা নিরাপত্তা কমিটির সামনে রাখা হয়েছে। এর আগে “প্রজেক্ট-৭৭”-এর অধীনে ৬,০০০ টন ওজনের ৬ টি “হান্টার-কিলার” সাবমেরিন তৈরির কথা ছিল। পরে সেগুলির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২ টিতে।
আরও পড়ুন: বাইক ও স্কুটার চালকেরা হয়ে যান সাবধান! লাগু হচ্ছে নতুন নিয়ম, অমান্য করলেই হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা
কত লাগবে সময়: জানা গিয়েছে এই দু’টি প্রাণঘাতী সাবমেরিন তৈরি করতে এক দশক সময় লাগবে। যেগুলির প্রায় ৯৫ শতাংশই হবে দেশীয়ভাবে তৈরি। অপরদিকে, পরবর্তী ৪ টি সাবমেরিন পরবর্তী পর্যায়ে অনুমোদন করা হবে। উল্লেখ্য যে, চিন ও পাকিস্তানের দ্বৈত হুমকি মোকাবেলায় ভারতের (India) অন্তত ১৮ টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন, ৪ টি এসএসবিএন এবং ৬ টি এসএসএন প্রয়োজন। স্থল সীমান্তের বাইরে চিন ও পাকিস্তানের সামুদ্রিক সীমানাও রয়েছে। এদিকে ভারতে বর্তমানে INS আরিহন্তে একটি মাত্র এসএসবিএন রয়েছে।