বাংলা হান্ট ডেস্ক : এর আগেই ভারতের কোনো আভ্যন্তরীন বিষয়ে পাকিস্তানকে নাক না গলানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ভারত। বার বার আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খুলে তিরস্কৃত হয়েও পাকিস্তানের শান্তি নেই। তাই এবার ভারতের নাগরকত্ব আইন নিযে যেভাবে দেশ জুড়ে সমালচনার ঝড় উঠেছে তা নিয়ে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। এমনকি গত মঙ্গলবারই ভারত সরকারের বিরোধিতা করে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল ইমরান খানকে।
যদিও পাল্টা দিতে কম কসুর করেনি ভারত। নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেয় ভারত। এবার জেনেভায় জাতি সংঘের বিশেষ অধিবেশনে সকলের সামনে পাকিস্তানকে ভারত ইস্যুতে মুখ খোলা নিয়ে একেবারে তুলোধনা করা হল। জেনেভার ওই সম্মেলনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রাজীব একদিকে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কথা বলেন। অন্যদিকে ইমরান খানের ট্যুইটে ভারতীয় মুসলিমরা দেশ ছাড়বেন আগামী দিনে এইর জবাবও দিতে থাকেন।
তিনি বলেন,” মানবাধিকার প্রশ্নে পাকিস্তান স্বঘোষিত সেরা একটি দেশ। একাধিক নিন্দাজনক আইন, ক্রমাগত নিপীড়ন, নির্মম নির্যাতন এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করণের কারণে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের ২৩ শতাংশ সংখ্যালঘুর পরিমাণ বর্তমানে ৩ শতাংশে পৌঁছেছে। ” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যায় ভারত সর্বদা অত্যাচারিতদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা দিয়ে এসেছে।”
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর নাগরিকতা সংশোধন বিল আইন হয়ে যায়, এবং এটি এখন সংবিধানের একটি অংশ। বিরোধী দল অভিযোগ করে বলছে যে, এই আইন আর্টিক্যাল ১৪ এর লঙ্ঘন করে, এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে দেশবাসী। আর সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই দেশের অভ্যন্তরেই বিরোধিতার ঝড় উঠেছে। অন্যদিকে আমেরিকা ও ব্রিটেনের তরফে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সমর্থণ জানিয়ে বিরোধিতা নিয়ে সকলের নজস্ব মতামত পোষণ করার অধিকার আছে বলে জানানো হয়।