বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড়সড় জয় ভারতীয় কূটনীতিতে। এবারের জি-৭ বৈঠকেও ডাক পেল ভারত। বড় সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে একটি বার্তা দিয়ে এই সুখবর ঘোষণা করেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি জি-৭ এ আমন্ত্রণের খবরও শেয়ার করেন তিনি।
জি-৭ বৈঠক নিয়ে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi)
এক্স হ্যান্ডেলে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) লিখেছেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির থেকে ফোন পেয়ে আনন্দিত। সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে চলতি মাসের শেষে জি-৭ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যও ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি আরো লিখেছেন, ভারত এবং কানাডা একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে। জি-৭ বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মোদী।
ভারতের আমন্ত্রণ পাওয়া নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা: প্রতি বছরই জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়ে থাকে ভারত। কিন্তু এবছর চিত্রটা ছিল অন্য রম। জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, এবার আর জি-৭ বৈঠকে আমন্ত্রণ পায়নি ভারত। কিংবা পেলেও প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) যোগ না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নেপথ্যে কারণ হিসেবে উঠে আসছিল ভারত এবং কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন। সূত্রের তরফে জানা গিয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি না হলে উচ্চপর্যায়ের কোনো সফর সম্ভব নয়।
Glad to receive a call from Prime Minister @MarkJCarney of Canada. Congratulated him on his recent election victory and thanked him for the invitation to the G7 Summit in Kananaskis later this month. As vibrant democracies bound by deep people-to-people ties, India and Canada…
— Narendra Modi (@narendramodi) June 6, 2025
আরো পড়ুন : বিলাওয়ালের মুখে ফের ‘পরমাণু যুদ্ধ’ ইঙ্গিত, সিন্ধু চুক্তিকে ঢাল করেই ভারতকে প্রচ্ছন্ন ‘হুমকি’ পাকিস্তানের?
দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল: উল্লেখ্য, গত মাসেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কানাডা সফর নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কোনো তথ্য নেই। দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়ে কানাডার বিদেশমন্ত্রী অঙ্কিতা আনন্দ মন্তব্য করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে কানাডা শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। কিন্তু খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটায়।
আরো পড়ুন : চাষের জমিতে উদ্ধার দশম শ্রেণির কিশোরীর দেহ, ঘটনার তিনদিন পর সামশেরগঞ্জে গ্রেফতার গোলাপ হোসেন
২০২৩ সালেই নিজ্জর খুনের দায় ভারতের উপরে চাপিয়ে সরাসরি আঙুল তুলেছিলেন কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করা হয়। কিন্তু সেই থেকেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ফাটল তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই এবার জি ৭ সম্মেলনে ভারত ডাক পাবে না বলেই একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল নিন্দুকরা। কিন্তু তাদের কার্যত বড়সড় ঝটকা দিয়ে সসম্মানে বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী।