পড়শি দেশের উড়ল ঘুম! পাকিস্তানের নাকের ডগায় তৈরি হচ্ছে ভারতের নতুন বিমান ঘাঁটি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাচ্চা-বাচ্চারাও জানে ভারতের (India) পরম শত্রু পাকিস্তান। পান থেকে চুন খসলেই দুই দেশে লেগে যায় দ্বন্দ্ব। বর্তমানে কাশ্মীর উপত্যকা নিয়ে হামেশাই উত্তেজনা সৃষ্টি করে থাকে পাকিস্তান। এই চুলোচুলির মাঝে ভারত নিয়েছে বিরাট পদক্ষেপ। একেবারে পাকিস্তানের নাকের ডগায় তৈরি করছে দীসা এয়ারফিল্ড নামক বিমান ঘাঁটি। জানা যাচ্ছে, এই বিমান ঘাঁটিটি পাকিস্তান থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভারতীয় বায়ু সেনা এখান থেকে যেকোনও ধরণের আক্রমণ চালাতে পারবে।

পাকিস্তানের নাকের ডগায় ভারতের (India) নতুন বিমান ঘাঁটি:

ঠিক কোথায় তৈরি করা হচ্ছে এই বিমান ঘাঁটি: তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাটের বনাসকান্তায় দীসা এয়ারফিল্ড বিমান ঘাঁটি তৈরি করা হবে। যেখানে এটি তৈরি হচ্ছে সেটি পাকিস্তান থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরে। তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বিমান ঘাঁটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন ২০২২ সালে। আর ২০২৪ সালে সেটি কাজ শুরু হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, দেশের (India) নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য এই বিমান ঘাঁটি তৈরি করা হবে। সেইসাথে বিমান বাহিনীর ৫২ তম স্টেশন হিসেবে ভারতের পশ্চিম প্রান্তে তৈরি হতে চলেছে এটি।

India is buliding deesha airfield.

বিমান ঘাঁটি তৈরির জন্য চলছে সমীক্ষা: সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দীসা এয়ারবেসের রানওয়ের বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। যা মূলত অবস্ট্যাকল লিমিটেশন সারফেস সার্ভে নামে পরিচিত। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থার কাঁধে সমীক্ষার গুরুদায়িত্ব দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর থেকে একটি ছোট DA-62 টাইপের বিমান আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। সমীক্ষার পর একটি রিপোর্ট তৈরি করবে ওই সংস্থা। আর সেই রিপোর্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া হবে। এরপরই শুরু হবে বিমানবন্দরে মানচিত্রের কাজ।

আরও পড়ুন: পরপর ৩ টি সেঞ্চুরি! BCCI-এর রাতের ঘুম ওড়ালেন এই প্লেয়ার, নাম জানলে হয়ে যাবেন “থ”

এই বিমানবন্দর তৈরি করতে কত টাকা খরচা হচ্ছে সরকারের: জানা গিয়েছে যে, এই বিমান ঘাঁটির নির্মাণ কাজের জন্য সরকারের তরফ থেকে ৪,৫১৯ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি তৈরি করতে খরচ পড়বে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা। এছাড়াও ৩৯৪ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হবে রানওয়ে। আর এই বিমান ঘাঁটির মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিমানবাহিনী পশ্চিম সীমান্তে যেকোনও ধরণের অভিযান চালাতে পারবে। স্থলে হোক বা সমুদ্রে, প্রতিরক্ষার জন্য প্রতিপক্ষকে আক্রমণের ব্যবস্থা করা থাকবে। বিশেষ করে, আহমেদাবাদ এবং ভদোদরার মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলিকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এই ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: রোহিত শর্মাকে কাছে পেয়ে একটাই দাবি জানালেন হাজার হাজার অনুরাগী! আদৌ পূরণ করবেন হিটম্যান?

এই সূত্রে জানিয়ে রাখি, এই বিমান ঘাঁটি বায়ুসেনার অন্যতম শক্তিশালী কেন্দ্র হতে চলেছে। কারণ, এর সাহায্যে একসাথে ৩ টি রাজ্য অর্থাৎ গুজরাট, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রকে রক্ষা করা যাবে। শুধু তাই নয়, এই বিমান ঘাঁটি নির্মাণের সাথে সাথে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ফাইটার জেটের শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। এরফলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অন্যান্য প্রতিবেশী ঘাঁটিগুলি কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর