বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর নয় অপেক্ষা! চলতি বছরের সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবর মাসেই আসতে চলেছে প্রথম “মেড ইন ইন্ডিয়া” (India) সেমিকন্ডাক্টর চিপ। এই তথ্য জানিয়েছেন খোদ তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের (PSMC) সাথে অংশীদারিত্বে টাটা ইলেকট্রনিক্স গুজরাটের ধলেরাতে দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব তৈরি করছে। এমতাবস্থায় চলুন জেনে নিই সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে সরকার বর্তমানে ঠিক কোন গতিতে কাজ করছে!
টাটার হাত ধরে নয়া নজির গড়তে চলেছে ভারত (India):
প্রথম চিপ অক্টোবরের মধ্যে পাওয়া যাবে: সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-এর ঘোষণার পরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন যে, বিশ্ব আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে ভারতের (India) তৈরি প্রথম সেমিকন্ডাক্টর পেতে চলেছে। এজন্য ধোলেরা প্ল্যান্টে কাজ চলছে। তিনি জানান যে, টাটা গ্রুপের কোম্পানি টাটা ইলেকট্রনিক্স এবং পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন এই বিষয়ে অংশীদারিত্বে একসাথে কাজ করছে। এই ইউনিটটি ২০২৪ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল। এটি দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট। সেই সময় বলা হয়েছিল, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ দেশে চিপ তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু অশ্বিনী বৈষ্ণবের বক্তব্যের পর এটা স্পষ্ট যে, আগের পরিকল্পনার বিপরীতে ভারত এক বছর আগেই “মেড ইন ইন্ডিয়া” চিপ পেতে চলেছে।
টাটা গ্রুপ ৯১,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে: ২০২৪-এর মার্চের রিপোর্ট অনুসারে, টাটা গ্রুপ ৯১,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দেশের (India) প্রথম মেগা সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ধলেরায় প্রায় ১৬০ একর জমি সংরক্ষিত করেছে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য উভয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সরকারি ভর্তুকি প্রকল্প ব্যয়ের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কভার করার অনুমান করা হয়েছিল, যাতে ধলেরা সুবিধা ভারতের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব হয়ে উঠতে পারে। টাটা ইলেকট্রনিক্স এবং PSMC-র মধ্যে এই উদ্যোগটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২০,০০০ দক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলে অনুমান করা হয়। এছাড়াও, টাটা গ্রুপ ধলেরাতে তার সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাসিলিটির জন্য তাইওয়ানের ফার্ম পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।
আরও পড়ুন: Fixed Deposit করেই হয়ে যান মালামাল! SBI সহ এই ১০ টি ব্যাঙ্ক দিচ্ছে বাম্পার সুদ, দেখুন তালিকা
গ্যালেনিয়াম নিয়ে কাজ করা হচ্ছে: এদিকে, বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, সরকার বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সকে (IISc) গ্যালিয়াম নাইট্রাইডে (GaN) নতুন গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ৩৩৪ কোটি টাকা দিয়েছে। যেটি সেমিকন্ডাক্টরগুলির একটি প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। যা টেলিকম এবং বিদ্যুতে ব্যবহৃত হয়। তিনি বলেন, সরকার শীঘ্রই কম্পোনেন্টসের জন্য একটি প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ (PLI) স্কিম আনবে।
আরও পড়ুন: “আতঙ্কিত হবেন না”, শেয়ার বাজারে ক্রমাগত পতনের আবহেই অভয়বাণী নির্মলার, জানালেন…..
এখন ISM 2.0-এর জন্য চলছে প্রস্তুতি: বৈষ্ণব বলেছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে, ভারতে (India) ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে ১৩,১৬২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং আরও অনেক বিনিয়োগ আসতে চলেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ২৩৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। বৈষ্ণব বলেন, আইটি মন্ত্রক ভারত সেমিকন্ডাক্টর মিশন (ISM) 1.0 সম্পূর্ণ করার জন্য এই শিল্পের সাথে কাজ করছে। যেখানে মোহালির সেমিকন্ডাক্টর ল্যাবের আধুনিকীকরণ এখনও মুলতুবি রয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে, মন্ত্রক ISM 2.0-র অনুমোদনের জন্য কাজ করবে। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা অনুমোদনের পর ISM 2.0-এর জন্য বাজেট বরাদ্দ প্রকাশ করা হবে।