বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছরের শুরুতেই “দুর্নীতিগ্রস্ত” তকমা জুটল ভারতের! সদ্য প্রকাশিত বিশ্ব দু্র্নীতি সূচকে ১৮০ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান হল ৮৫-তে। এমনকি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পড়শি দেশ ভুটানও অবলীলায় হারিয়ে দিয়েছে ভারতকে। অর্থাৎ, ভুটানের থেকেও দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হল ভারত!
গত মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (TI)-এর বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এই বার্ষিক সূচক তৈরি করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশগুলির কাজের ভিত্তিতে নম্বর দেন কমিটির সদস্যরা। সবথেকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্তের কপালে জোটে শূন্য। অপরদিকে, সবথেকে বেশি দুর্নীতিমুক্ত দেশকে দেওয়া হয় ১০০ নম্বর।
সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দুর্নীতিমুক্ত দেশগুলির ধারেকাছে নেই ভারত। ভারতের এবারের প্রাপ্ত নম্বর হল ৪০। অন্যদিকে চিনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫ এবং বাংলাদেশ পেয়েছে ২৬। তবে এক্ষেত্রে ভুটান ব্যতিক্রম। এই তালিকায় সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে সাউথ সুদান।
দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং নরওয়ে। এদিকে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, বেশ কয়েক বছর ধরেই ভারতের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। অন্যদিকে ভারতের পড়শি দেশগুলির অবস্থাও ভাল নয়, ভুটান ছাড়া।
পাশাপাশি, পাকিস্তান এই নিরিখে আরও ১৬ ধাপ পিছিয়েছে। পাকিস্তানের প্রাপ্ত নম্বর ২৮। বিশ্ব দুর্নীতির সূচকে তাদের স্থান রয়েছে ১৪০-এ। এছাড়াও, টিআই তাদের রিপোর্টে আরও জানিয়েছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের গণতান্ত্রিক মর্যাদা নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে।
পাশাপাশি, ওই রিপোর্টে পুলিশ, রাজনৈতিক দলগুলির মদতপুষ্ট গুণ্ডা ও দুষ্কৃতী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মীদের আগ্রাসনের জেরে দেশের সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি, কালো টাকার রমরমা রুখতে ডিমানিটাইজেশনের মত ঘটনাও ঘটিয়েছেন তিনি। তারপরেও দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ভারতের এমন অবস্থান মোদী সরকারের কাছে নিঃসন্দেহে যে একটি বড় ধাক্কা তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।