বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমেরিকা আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার পর পরিস্থিতি ফের একবার খারাপ হয়ে উঠতে শুরু করেছে আফগানিস্তানে। আরও একবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে তালিবানি (Taliban) জঙ্গী গোষ্ঠীগুলি। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের বেশকিছু নতুন এলাকা দখল করে নিয়েছে তারা। বিশেষত উত্তর আফগানিস্তানের বেশ কিছু এলাকায় এখন পুরোদস্তুর তালিবানি রাজ চলছে। শুধু তাই নয়, কান্দাহারের মত এলাকায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং রাস্তা দখল করে রেখেছে তালিবানিরা। যার জেরে শহরের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে আফগানিস্তানে স্থিত বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য দূতাবাসগুলিও প্রায় বন্ধ হবার মুখে। ইতিমধ্যেই অনেক দেশ নিজেদের আধিকারিক এবং কর্মীদের ফের একবার দেশে ফিরিয়ে নিয়েছেন। এবার একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারতও (India)। কাবুল, কান্দাহার এবং বিভিন্ন এলাকায় ভারতের প্রায় চারটি বাণিজ্য দূতাবাস রয়েছে। এই দূতাবাসগুলিতে কাজ করেন প্রায় ৫০০ কর্মী এবং আধিকারিক। এবার আফগানিস্তানের সমস্ত ভারতীয় নাগরিক এবং কর্মীদের দেশে ফেরানোর জন্য চিন্তা করতে শুরু করেছে ভারত।
কারণ এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সমস্ত দেশের কপালেই। বর্তমানে আফগানদের শিক্ষাদান এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বহু টাকা খরচ করছে ভারত। তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও এর আগে আফগানিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দিল্লি। তবে পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। কিন্তু আফগানদের জন্য বিভিন্ন তালিবান দখলীকৃত এলাকাগুলিও এখন নিরাপদ নয়।
আফগানিস্তানের বেশকিছু জেলাও দখল করে নিয়েছে তালিবানি জঙ্গীরা। যার জেরে কার্যত পালিয়ে বেঁচেছেন তিনশোরও বেশী আফগান পুলিশকর্মী। সেই কারণে আপাতত ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি। সরকারি সূত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে , “আফগানিস্তানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠছে। আর সেই কারণেই আমাদের নাগরিক এবং সরকারি আধিকারিকদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ”
সূত্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি প্রচন্ড খারাপ। যার জেরে দূতাবাস এবং বাণিজ্য দূতাবাসগুলির পক্ষে কাজ চালানো প্রায় অসম্ভব। আফগানিস্তানের জালালাবাদ এবং হেরাত শহরের ভারতীয় দূতাবাস এর আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে কান্দাহার এবং মাজার শরিফের দূতাবাসগুলি কোনরকমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তাও এবার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে ভারত।