এবার ড্রাগন পাবে ৪৪০ ভোল্টের ধাক্কা! LAC-তে বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত, ঘুম উড়তে চলেছে চিনের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার রীতিমতো ঘুম উড়তে চলেছে চিনের (China)। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা জানিয়েছেন যে, ভারতের উত্তর সীমা সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় “স্থিতিশীলতা” বজায় রয়েছে। পাশাপাশি, সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র “দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ” রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং শহরের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সীমান্ত এলাকা ইয়াংটসে ভারতীয় ও চিনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পরে কলিতা এই প্রসঙ্গটি উপস্থাপিত করেছেন।

আতঙ্কে চিন: পাশাপাশি, চিন সীমান্ত অর্থাৎ LAC (Line of Actual Control)-তে ভারত দুর্ভেদ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। এমতাবস্থায় ড্রাগনকে যোগ্য জবাব দিতে গিয়ে তার প্রতিটি পদক্ষেপ নস্যাৎ করা হচ্ছে। এদিকে, LAC-তে এমন অস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে, যা ইতিমধ্যেই চিনে আতঙ্কের আবহ তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, প্রাণঘাতী অস্ত্র মোতায়েনের কৌশলে ভারত এখন চিন সীমান্তে ইজরায়েলি র‌্যাম্পেজ মিসাইল মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। যদিও এই বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবুও ইজরায়েলের এই প্রাণঘাতী অস্ত্রের গুণাগুণ জানলে রীতিমতো চমকে উঠবেন।

   

র‌্যাম্পেজ মিসাইলের বিশেষত্ব: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, র‌্যাম্পেজ হল একটি দূরপাল্লার এয়ার টু গ্রাউন্ড নির্ভুল সুপারসনিক মিসাইল। যা প্রায় ১৫ ফুট লম্বা এবং ৫৭০ কেজি ওজনের। এই জিপিএস গাইডেড মিসাইলের রেঞ্জ হল ২৫০ কিমি। রাডারে এটি ধরা পড়লেও এটি এতটাই দ্রুত গতির যে মিসাইলটিকে আটকানো যায় না।

অর্থাৎ শত্রুপক্ষ চাইলেও তার ইন্টারসেপ্টর মিসাইল দিয়ে আঘাত করে এটিকে লক্ষ্যচ্যুত করতে পারে না। শুধু তাই নয়, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। পাশাপাশি, র‌্যাম্পেজ মিসাইলটি ফাইটার প্লেন থেকেও উৎক্ষেপণ করা যায়। এমতাবস্থায়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি হামলায় শত্রুপক্ষের ৫০০ মিটার এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

fjyn4r8xwaeujue

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ইজরায়েলি কোম্পানি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। কোনো হাই-ভ্যালু টার্গেটকে ধ্বংস করতে এটির বেশি সময় লাগে না। পাশাপাশি, যেকোনো ফাইটার জেটে একবারে চারটি মিসাইল বসানো যায়। এমনকি, হ্যাকিং বা জ্যামিং-এর মাধ্যমেও এটিকে প্রতিহত করা যায় না। এছাড়াও, র‌্যাম্পেজ মিসাইলের বিশেষত্ব হল এটি তার লক্ষ্যবস্তুতে প্রতি মিনিটে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর