বাংলাহান্ট ডেস্ক : করোনার সময় থেকেই ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার উপরে জোর দিয়েছিল ভারত (India) সরকার। সেই আত্মনির্ভরতা পরিস্ফুট হয়েছে দেশের সেনাবাহিনীতেও। বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করার বদলে দেশীয় প্রযুক্তিতেই অস্ত্র তৈরির উপরে জোর দিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এমনকি দেশীয় অস্ত্র বিদেশেও হচ্ছে রপ্তানি। আর এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তৃতীয় প্রজন্মের অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য একটি সংস্থাকে বরাত দিল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে বলে খবর।
ভারতীয় (India) সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে ২৫০০ কোটি চুক্তি
আর্মড ভেহিকলস নিগম লিমিটেডের সঙ্গে ১৮০১ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে বলে খবর প্রতিরক্ষা সূত্রে। এছাড়া প্রায় ৫০০০ লাইট ওয়েট ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য চুক্তি হয়েছে ফোর্স মোটরস লিমিটেড এবং মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা লিমিটেডের সঙ্গেও দুটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে কেন্দ্রের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে।
কী বিশেষত্ব ক্ষেপণাস্ত্রের: বিভিন্ন অভিযানে ভারতীয় (India) সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি হবে এর ফলে। তিন বছর আগেই নাগ ক্ষেপণাস্ত্র সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হল, এটিতে জটিলতা অনেক কম। পাশাপাশি সহজে নির্ভুল ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি এতটাই শক্তিশালী যে অত্যাধুনিক যেকোনো ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে সক্ষম। শুধু লক্ষ্যবস্তুতে আগে থেকে টার্গেট বেঁধে দিতে হয়। ওজনে এটি তুলনামূলক হালকা হওয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োজনে সহজে বহন করা সহজ হয়।
আরো পড়ুন : অভিনব পন্থায় টাকা আত্মসাৎ, চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল দুই বলি অভিনেতার
বরাত রয়েছে আধুনিক ট্যাঙ্কের: আরো যে ৫০০০ লাইট ওয়েট ট্যাঙ্কের বরাত দেওয়া হয়েছে, সেগুলিও আধুনিক প্রযুক্তি অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে। যেকোনো ধরণের পরিস্থিতিতে এবং ভূখণ্ডে দ্রুত গতিতে চলতে পারবে এই ট্যাঙ্ক। পাশাপাশি উন্নত ইঞ্জিন সহ ৫০০০ কেজির ভার বহন করতেও সক্ষম এই হালকা ট্যাঙ্ক গুলি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এই দুটি চুক্তিই দেশীয় (India) প্রযুক্তি এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে কর্মসংস্থানও বাড়বে বিপুল পরিমাণে।
আরো পড়ুন : জোড়া ভূমিকম্পে হাহাকার মায়ানমার-থাইল্যান্ডে! সবরকমের সাহায্যে আশ্বাস ভারতের, কী জানালেন মোদী?
এই দুই চুক্তি ছাড়াও চলতি মাসেই সেনাবাহিনীর জন্য আরো ৭০০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর নেতৃত্বাধীন ‘প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি’র একটি বৈঠকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য এটিএজিএস কেনার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই খাতেই খরচ হবে ৭০০০ কোটি টাকা। এছাড়াও সেগুলি বহনের জন্য উপযুক্ত ৩২৭ টি ভেহিকলও কেনা হবে।