বাংলাহান্ট ডেস্ক : উদ্বেগ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ভারতের (India)। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আমেরিকাকে নিয়ে যখন একের পর এক সমস্যার মুখে পড়ছে ভারত (India), ঠিক তখনই চিন্তা বাড়ল আরেকটি দেশকে নিয়ে। নিশ্চয়ই ভাবছেন কোন দেশের কথা বলা হচ্ছে? দেশটির নাম কঙ্গো। কঙ্গো রক্তাক্ত হতেই বিপাকে পড়েছেন সেদেশে আটকে থাকা ভারতীয়রা।
চিন্তা বাড়ছে ভারতের (India):
ইতিমধ্যেই শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে সতর্ক করা হল আটকে থাকা ভারতীয়দের (Indian)। সেই সঙ্গে জানানো হল হেল্পলাইন নম্বরও। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের সংযোজন, “আমাদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবং হেল্পলাইন নম্বরও জানানো হয়েছে। কেউ সমস্যায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।”
আরোও পড়ুন : রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার! ১৪ বছর পর বিধানসভায় আসনবদল বালুর! কোথায় বসবেন জ্যোতিপ্রিয়?
এছাড়া, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, ”ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর বেশ কয়েকটি শহর ও কয়েকটি অঞ্চলে সংঘর্ষের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সেখানে প্রায় ২৫ হাজার ভারতীয় থাকেন। এঁদের মধ্যে গোমায় বসবাসকারী ভারতীয়র সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। তাঁরা নিরাপদ স্থানে চলে গিয়েছেন।”
আরোও পড়ুন : Budget 2025: চিকিৎসা শিক্ষা নিয়ে বিরাট উদ্যোগ! বাজেটেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা… খুশির হাওয়া দেশে
এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কী হয়েছে কঙ্গোতে (Congo)? জানা যাচ্ছে, রোয়ান্ডার মদতপুষ্ট এম-২৩ বিদ্রোহীরা সেখানকার গোমা (Goma) শহরে ঢুকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই লড়াই শুরু হয়েছে তাদের সঙ্গে কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর। দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং জখম হয়েছেন প্রায় ৩৭০ জন।
এই ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে শহরের জনজীবন। ফলে পরিস্থিতি যেন এককথায় হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কঙ্গোর বিদেশমন্ত্রীর দাবি, রুয়ান্ডাপন্থীদের লক্ষ্য শাসনক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানো। এদিকে, গোমা শহরের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ছাড়াও, সংঘর্ষের জেরে শহরের আশপাশে আরও অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।