বাংলাহান্ট ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে ক্রমেই নিজেদের মাটি শক্ত করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। গত দশ বছরে বিশ্বের একাধিক দেশের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে ইসরো আয় করেছে প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি লোকসভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং তুলে ধরেছেন এমনই চমকপ্রদ তথ্য।
দুর্দান্ত নজির গড়ল ISRO (Indian Space Research Organisation)
জিতেন্দ্র সিং জানান, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পিএসএলভি, এলভিএম ৩ এবং এসএসএলভি রকেটের মাধ্যমে ৩৯৩টি বিদেশী উপগ্রহ এবং তিনটি ভারতীয় গ্রাহক উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছে ইসরো। গত ১০ বছরে এই বিপুল পরিমাণ উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কোষাগারে এসেছে প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন : ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনায় ভারতের দিকে আঙুল তোলার জের! পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দিল দিল্লি
লোকসভায় জিতেন্দ্র সিং জানান, এখনও পর্যন্ত ৩৪টি দেশ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার মাধ্যমে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে মহাকাশে। এরমধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩২ টি, যুক্তরাজ্যের ৮৩ টি, সিঙ্গাপুরের ১৯ টি, কানাডার ৮টি, দক্ষিণ কোরিয়ার ৫টি, লাক্সেমবার্গ এবং ইতালির চারটি করে উপগ্রহ।
আরও পড়ুন : একী কাণ্ড! বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উদ্বেগে “রাগ” ঢাকার, দেওয়া হল বিশেষ বার্তা
পাশাপাশি গত ১০ বছরে ইসরোর মাধ্যমে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করিয়েছে জাপান, ইস্রায়েল, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অস্ট্রিয়ার মতো দেশও। ২০২৩ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩-এর সফল ল্যান্ডিং ইসরোর মুকুটে যুক্ত করেছে নয়া পালক। ২০২৪ সালেও একাধিক বড় প্রজেক্টের সাথে যুক্ত ছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ইসরোর (Indian Space Research Organisation) সূচি অনুযায়ী রয়েছে মহাকাশে মহিলা রোবট পাঠানোর পরিকল্পনাও। পাশাপাশি, ২০২৫ সালে গগনযান ও ভারত-আমেরিকার (India-USA) যৌথ উদ্যোগে আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইট নিসার (NISAR) উৎক্ষেপণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইসরোর কাছে।
ভারত-আমেরিকার যৌথ সহযোগিতায় তৈরি ‘নাসা-ইসরো সার স্যাটেলাইটে’র সংক্ষিপ্ত নাম দেওয়া হয়েছে নিসার (NISAR)। ১২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা অর্থব্যয়ে এই স্যাটেলাইট (Foreign Satellite) উৎক্ষেপণ হতে চলেছে মার্চ মাসেই। মহাকাশ থেকে প্রতি ১২ দিন অন্তর পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ স্ক্যানিং করার দায়িত্ব পালন করবে নিসার।