ভারতের সবথেকে বড় এয়ারপোর্ট বানাচ্ছে টাটা, দেখে ঈর্ষা করবে গোটা বিশ্ব

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি হতে চলেছে নয়ডায়। যেটি দিল্লি-নয়ডাবাসীর জন্য খুব আনন্দের বিষয়। এই বিমান বন্দরটি তৈরি করতে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে। কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রকের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৪-র মধ্যেই এই এয়ারপোর্টের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই বিমানবন্দর তৈরির বরাত পেয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখের একটি সংস্থা। দেশের সবথেকে বড় বিমানবন্দর তৈরি হওয়ার খবর সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসের ঢেউ নেটপাড়াজুড়ে।

সুইজারল্যান্ডের জুরিখের সংস্থাটি জানিয়েছে তাদের তরফ থেকেই টাটা প্রোজেক্টসকে এই বিমানবন্দর তৈরির কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করবে টাটারা। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই বিমানবন্দরের কাজ শেষ হতে চলেছে। গ্রেটার নয়ডার জেওয়ারে তৈরি করা হবে এই বিমানবন্দর। সুইস সংস্থার হাত থেকে চুক্তি টাটাদের হাতে আসার পর এই বিমানবন্দররের টার্মিনাল, রানওয়ে প্রভৃতি তৈরি করবে। এছাড়া এয়ারসাইড পরিকাঠামো, রাস্তা, ল্যান্ডস্লাইড ফেসিলিটিও প্রভৃতি তৈরি করবে এই সংস্থা। পুরোটার জন্য সময় লাগবে দুই বছরেরও কম।

এ প্রসঙ্গে টাটা প্রোজেক্টসের সিইও বিনায়ক পাই বলেন, ‘‘আমরা যমুনা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে এক যোগে কাজ করে সময়সীমার আগেই কাজ শেষ করে ফেলতে চাই। এ জন্য আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছি, যা একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ।’’

jpg 20220604 143441 0000

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নয়ডা বিমানবন্দর গড়ার বরাত পেয়েছিল জুরিখ এয়ারপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল এজি। তারাই পরে ওয়াইআইএপিএল-কে কাজের দায়িত্ব দেয়। ১৩৩৪ হেক্টর নিয়ে তৈরি হবে নয়ডা এয়ারপোর্ট। আপাতত রানওয়ে হবে একটিই। বছরে ১২০ লক্ষ যাত্রী পরিষেবা দিতে পারবে এই বিমানবন্দর। নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৫৭০০ কোটি টাকা।এই বিমানবন্দরের কাজ আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরে থাকবে গ্রিনফিল্ড ব্যবস্থার সুবিধা।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর