বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিন কয়েক আগেই মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন নমো। সেখানেই মোদি-ট্রাম্প যৌথ বিবৃতিতে প্রোজেক্ট ‘ওয়াটারওয়ার্থ’-এর কথা উল্লেখ করেছিলেন। এবার মেটার পক্ষ থেকেও ভারতের (India) সঙ্গে এই প্রজেক্টের সংযোগ নিয়েও জানানো হল। শুধু তাই নয়, মার্ক জুকেরবার্গের তরফে ভারতে মেটার বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়েও চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
মেটার পক্ষ থেকেও ভারতের (India) সঙ্গে বিশেষ প্রকল্প
এখন প্রশ্ন হল, খবরের শিরোনামে উঠে আসা এই প্রোজেক্ট ‘ওয়াটারওয়ার্থ’ আসলে কী? জানা গিয়েছে, বিশ্বের দীর্ঘতম আন্ডার সি কেবল প্রজেক্ট হচ্ছে এটি। ইন্টারনেট সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে সাগরের তলা দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার কিলোমিটার জুড়ে কেবল বসানো হবে। এই প্রকল্পের (Project) সঙ্গে যুক্ত হবে বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশই।
আরোও পড়ুন : উলটে যাবে TRP, “তাক লাগানো” টুইস্ট দিয়েই ধরাছোঁয়ার বাইরে জলসা কাঁপানো মেগা!
আশা করা হচ্ছে, এই দশকের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাবে। মেটার (Meta) একটি ব্লগ পোস্টের সৌজন্যে ইতিমধ্যেই জানা গেছে যে, এই কেবল জলস্তরের প্রায় ৭,০০০ মিটার নীচ দিয়ে যাবে। পাশাপাশি বেশি ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকায়, ব্যবহার করা হবে এনহ্যান্সড বিউরিয়াল টেকনিক। উদ্দেশ্যে থাকবে যাতে জাহাজ বা জাহাজের নোঙরের জন্য কেবলের কোনও ক্ষতি না হয়।
আরোও পড়ুন : ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে নতুন মেগা, ‘দুগ্গামণি’ আসতেই স্লট হারা এই সিরিয়াল!
এই প্রসঙ্গে মেটার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘মেটার অন্যতম বড় মার্কেট হল ভারত। সেখানে আমরা বিনিয়োগ করছি। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ, সবচেয়ে শক্তিশালী এবং প্রযুক্তিগত ভাবে সবচেয়ে আধুনিক আন্ডার সি কেবল প্রকল্পের সঙ্গে ভারতকে জুড়ে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের সঙ্গে আমেরিকা এবং অন্যান্য আরও একাধিক জায়গা জুড়ে থাকবে।’
এদিকে ট্রাইয়ের সূত্রে খবর, ভারত (India) ১৭টি ডিস্ট্রিক্ট ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে প্রায় ১৭টি আন্তর্জাতিক সাব-সি কেবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। ভারতের জন্য অষ্টাদশতম আন্ডার সি কেবল প্রোজেক্ট হবে মেটার এই প্রকল্প। এদিকে ট্রাইয়ের প্রধানের মতে, এই আন্ডার সি কেবলের মাধ্যমে ১৮০ টেরাবিট পার সেকেন্ড গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়।