বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিনকে (China) প্যাঁচে ফেলতে কোন ত্রুটিই রাখছে না ভারত (India)। আর সেই কারণেই এবার মোদী সরকারের তরফে অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) নতুন হাইওয়ে তৈরীর কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই অরুণাচল প্রদেশে তৈরি হওয়া হাইওয়ে সম্পর্কে প্রতিরক্ষা দপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, মগো থেকে শুরু করে এই হাইওয়ে তাওয়াং, আপার সুবনসারি, সিয়াং হয়ে মায়ানমার সীমান্তের কাছে বিজয়নগরে পৌঁছাবে।
চিনের চালাকির জবাব দিতে ভারত অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন এলএসি-তে ২০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যাকমোহন লাইনে প্রথমবারের মতো একটি সীমান্ত মহাসড়ক তৈরি করতে চলেছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাইওয়েটি চিন সংলগ্ন গোটা এলএসিকে একসাথে যুক্ত করতে চলেছে। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, সীমান্ত হাইওয়েটি ভুটান সংলগ্ন অরুণাচল প্রদেশের মগো থেকে শুরু করে তাওয়াং, আপার সুবনসারি, সিয়াং, দেবাং উপত্যকা এবং কিবিথু হয়ে মায়ানমার সীমান্তের কাছে বিজয়নগরকে কেন্দ্র করেই তৈরী হবে। এইভাবে, অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন এলএসি সম্পূর্ণভাবে একটি মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হবে।
অরুণাচল প্রদেশে ইতিমধ্যেই দুটি জাতীয় সড়ক রয়েছে। ট্রান্স অরুণাচল হাইওয়ে এবং ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর। এইভাবে অরুণাচল প্রদেশের হাইওয়েগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত হওয়ার ফলে অরুণাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে সংযোগ ছিল না তা সম্পূর্ণ হবে। বলা বাহুল্য, অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের এলাকা আখ্যা দিয়ে চিন বরাবরই তার প্রতি নজর রাখে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চিনা সেনাবাহিনী অরুণাচল প্রদেশের অনেক এলাকায় ঢুকে এসেছিল। সে সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে তেমন রাস্তার সুবিধা ছিল না, যার কারণে সেনাবাহিনীর চলাচল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চিনের এই আধিপত্যের কারণেই ভারতীয় সেনাবাহিনী, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) এবং রাজ্য সরকারের সাথে অরুণাচল প্রদেশে রাস্তার সংখ্যা বৃদ্ধির কাজে পরিকল্পনা করছে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র ভারতের সীমান্ত হাইওয়ে চীনের ঘোস্ট- ভিলেজ কাছে অব্দি পৌঁছাবে। আসলে, অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন এলএসি-তে চিন অনেকগুলি ঘোস্ট- ভিলেজ তৈরী করেছে। চিনা সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সেনাদের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এসব গ্রামে এনে বসতি স্থাপনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে যাতে যুদ্ধের সময়, এই গ্রামগুলি সেনা ব্যারাকে রূপান্তরিত করা যেতে পারে।