বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত এক বছরের বেশি সময় ধরে গমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন সকলেই। আর এবার চালেও বসছে মূল্যবৃদ্ধির থাবা। ভারতের মত কৃষিপ্রধান একটি দেশে চালের গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী রফতানিতেও চাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। এদিকে মাছ, মাংস, সব্জির দামও আকাশছোঁয়া। এমতাবস্থায় জনগনের খাতিরে এক বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী খুচরো পণ্যের মূল্যস্ফীতি (Inflation) জুনে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪.৮১ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিই মূলত এর নেপথ্য কারণ। এমতাবস্থায় মধ্যবিত্তের ডাল ভাত টুকুও যাতে খোয়া না যায় তাই এবার চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পথে কেন্দ্র!
সম্প্রতি খবর মিলেছে দেশের মুদ্রাস্ফীতির দিকে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বাসমতি ছাড়া আর কোন চাল বিদেশে রপ্তানি না করাটাই দেশের পক্ষে ভালো। এতে দেশের বাজারে চালের ঘাটতি থাকবে না। পাশাপাশি চালের দামকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। তবে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে বলেই ধারণা।
জানিয়ে রাখি, বিশ্ব বাজারে প্রায় ৯০ শতাংশ চাল রপ্তানি করে ভারত সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলি। তারমধ্যে ভারত একাই ৪০ শতাংশ চাল সরবরাহ করে থাকে। প্রায় ১০০ টি দেশে পৌঁছায় ভারতের চাল। তালিকায় রয়েছে চিন, বেনিন, সেনেগাল, টোগো ইত্যাদি দেশগুলি। এমতাবস্থায় দিল্লি চাল রপ্তানিতে লাগাম দিলে এইসব দেশে বাড়বে চালের দাম। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে গত দুই বছরের তুলনায় এবছর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে চালের দাম।
এতকিছুর মধ্যে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, খাদ্যশস্যের দাম এত বাড়ল কেন? বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বিধ্বংসী ঝড়, একটানা ভারী বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ শস্যের। আগের কয়েক মরসুমে খারাপ আবহাওয়ার জন্য দেশে চালের উৎপাদন আশানুরূপ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বর্ষার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।