বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ আমেরিকা ও চিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। এদিকে, আমেরিকা এখন চিনের শিপিং কোম্পানি এবং সেখানে নির্মিত জাহাজের কাছ থেকে উচ্চ ফি নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য তারা একটি প্রস্তাবও তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে, আমেরিকান বন্দরে চিনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত চিনা শিপিং কোম্পানি এবং জাহাজ থেকে ১ মিলিয়ন ডলারের বিশাল ফি আদায় করা হবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এতে ভারতের (India) বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গত বছর বিশ্বে সরবরাহকৃত জাহাজের অর্ধেকই চিনের তৈরি।
বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ভারত (India):
আমেরিকার শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবিতে গত বছরের মার্চে চিনের জাহাজ ও সামুদ্রিক ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত করেছিল ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)। এর পরই চিনা জাহাজ থেকে মোটা ফি আদায়ের প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। এটি ভারতের (India) বৈদেশিক বাণিজ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। কারণ ভারতীয় রফতানি মূলত বৈদেশিক জাহাজের ওপর নির্ভরশীল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আমেরিকা ভারতের (India) দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিপিং কোম্পানিগুলি এই উচ্চ ফি-র বোঝা জাহাজের পরিবহণের মূল্যের মাধ্যমে তুলতে পারে। জানিয়ে রাখি যে, বিশ্ব সবেমাত্র সুয়েজ খাল সঙ্কট থেকে স্বস্তি পেয়েছে। তবে, এবার আরেকটি সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: হয়ে গেল কনফার্ম! এই তারকা প্লেয়ারকেই অধিনায়ক করতে চলেছে KKR
চিনের আধিপত্য: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৯৯ সালে বিশ্বব্যাপী জাহাজ নির্মাণের বাজারে চিনের অংশ ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। যা ২০২৩ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বের বাণিজ্যিক বহরে চিনের অংশ ১৯ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন: দেশের ভোল পাল্টে দিতে আম্বানির মাস্টারস্ট্রোক! এই রাজ্যে শুরুর পথে “স্বপ্নের প্রকল্প”
যেখানে শিপিং কন্টেইনার উৎপাদনের ৯৫ শতাংশ এবং ইন্টারমোডাল চ্যাসিসের বিশ্বব্যাপী সরবরাহের ৮৬ শতাংশ রয়েছে। এমতাবস্থায়, এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে বিশ্বব্যাপী শিপিং শিল্পে চিন অত্যন্ত ভালো জায়গায় রয়েছে।