রাশিয়া-ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে এবার মাঠে নামছে ভারত, মধ্যস্থতা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী !

বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia Ukraine Crisis) যেন থামার নামই নিচ্ছে না। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। পৃথিবীর অনেক তাবড় দেশে দেখা দিয়েছে মন্দা, বেড়ে গিয়েছে তেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে সকলের নজর জি-২০ বৈঠকের দিকে। আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আয়োজিত হতে চলেছে এই বৈঠক। এবারের জি-২০ বৈঠক ঘিরে আরও উত্তেজনার কারণ হল, শোনা যাচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইডেন ও পুতিনের বৈঠক হলে যুদ্ধ পরিস্থিতির একটি সমাধান উঠে আসবে। যদিও এই বৈঠকের ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানায়নি কোনও দেশ। যদিও বৈঠকের সম্ভাবনা সরাসরি উড়িয়েও দেওয়া হয়নি দু’টি দেশের তরফেই। প্রসঙ্গত, জি-২০ দেশগুলি গোটা বিশ্বের অর্থনীতির ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্ব স্তরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয় এই বৈঠকে। তাই এই বৈঠকে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষার সমাধানও উঠে আসবে বলে আশাবাদী গোটা বিশ্ব।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সে জন্য বাইডেন ও পুতিনের কোনও বৈঠক হলে সেটি এই পরিস্থিতিতে একটি সমাধান পাওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরোপ ও আমেরিকার আর্থিক মন্দা ন্যাটোর দেশগুলির উপর যুদ্ধ শেষ করে দেওয়ার চাপ বাড়াচ্ছে। এমনকি ইউরোপের বহু দেশের নাগরিক এই যুদ্ধ শেষ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। একইসঙ্গে আরব দেশগুলি রাশিয়ার সমর্থন করছে। ফলে তারা ১ নভেম্বর থেকে তেলের উৎপাদন অনেকটাই কমিয়ে দেবে। এর ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম আরও বাড়বে।

তেলের দাম বাড়ার ফলে রাশিয়ার তেল বিক্রিতে সুবিধা হলেও আমেরিকা এবং ইউরোপ সমস্যায় পড়বে। তাই আমেরিকার আগামী পদক্ষেপ খুবই জরুরি। ফলে পুতিন ও বাইডেনের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। জি-২০ বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের সমাধান করতে ভারত মধ্যস্থতা করতে পারে। এমনটাই জল্পনা শোনা যাচ্ছে রাজনীতির অন্দরে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার বার রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানদের শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন। এমনকি ভারত এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে আসতে পারে, এমন বার্তাও দিয়েছেন তাঁদের। ভারতের এই পদক্ষেপের সমর্থনও করেছে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ। তাই জি-২০ বৈঠকে ভারতের অবস্থান কী হয় সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর