বিপদ বাড়লে ভারতে প্রয়োজন হতে পারে ১০ লক্ষ ভেন্টিলেটর, উপলব্ধ রয়েছে ৫০ হাজার

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে ভারতেও (India) সমস্যা দেখা দিয়েছে ভেন্টিলেটরের (Ventilator) ক্ষেত্রে। এই ভেন্টিলেটর রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করে। এই চিকিৎসা দ্রব্য প্রস্তুতে প্রচুর ব্যয় সাপেক্ষ এবং সময় সাপেক্ষ। যা বর্তমানে ভারতে অনেক কম পরিমাণে মজুত রয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছে চিকিৎসক মহল।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন যে, ভারতে ভেন্টিলেটরগুলির অভাব হতে পারে। বর্তমানে দেশে ৫০,০০০ ভেন্টিলেটর রয়েছে, যদিও করোনার সংক্রমণের সবচেয়ে খারাপ ক্ষেত্রে এক মিলিয়ন ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হতে পারে। বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক ডায়নামেটিক, স্টার্টআপ নোকা রোবোটিকস এবং নয়াদিল্লি-ভিত্তিক আগওয়া হেলথ কেয়ার এই ভেন্টিলেটরের চাহিদার পূরণ করার চেষ্টা করছে। এটির দাম ৩৩ ডলার থেকে ৭০০০ ডলারের মধ্যে। তবে দেশের সর্বোচ্চ মানের ভেন্টিলেটরটির দাম পড়তে পারে ১৬০০০ ডলার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অনেক দেশ এই জীবনরক্ষামূলক ডিভাইসের আমদানি করতে পারলেও। ভারতে লকডাউনের কারণে যন্ত্রাংশের কম সরবরাহ ও কম শ্রমিকের কারণে এর উৎপাদন দুই সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। আইআইটি কানপুরের প্রফেসর নোক্কার সাথে যুক্ত অমিতাভ বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, ‘আমাদের এই যন্ত্রের খব প্রয়োজন, যা আমরা দ্রুত বানাতে পারছি না’।

ভারত সরকার সমস্ত দেশবাসীকে ৩ মে অবধি লকদাউনের জন্য গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে এই রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং চিকিৎসকরা যাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে পারে। দেশে করোনার রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭০০ মানুষের। চলতি মাস খুবই সংকটজনক দেশবাসীর কারণে।

কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের গবেষণা বিভাগের ক্লিনিকাল পরিচালক সুব্রজ্যোতি ভৌমিক বলেছেন যে, ‘আমাদের দেশে ১০% লোক যদি সংক্রামিত হয় তাহলে, তাদের মধ্যে মাত্র ১% ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয়। তবে সেই চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না’। এই মহামারীটির আগে, হাসপাতালগুলি ভেন্টিলেটরগুলিতে ব্যয়বহুল হওয়ায় কম বিনিয়োগ করত। ভেন্টিলেটর কেবল কয়েকটি বড় শহরগুলিতে হাসপাতালে পাওয়া যায়। তবে, এখন সংস্থাগুলি এটিকে সাশ্রয়ী দামে তৈরি করতে এগিয়ে এসেছেন।