বাংলাহান্ট ডেস্ক : পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে বারবার সংঘাতের যে আবহের সৃষ্টি হয়েছে তাঁর রেষ কিছুতেই কমছে না। আর এই পরিস্থিতিতেই দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে আবারও ক্ষেপণাস্ত্রের প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালাল ভারত। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরোও একধাপ এগিয়ে ‘আত্মনির্ভর’ হল ভারত। বুধবার ভারতীয় নৌসেনা এবং প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল উৎক্ষেপণ করল। আর এবারেও ভারত সফল ভাবে উৎক্ষেপণ চালাতে সক্ষম হয়েছে বলে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দপ্তর তরফে দাবি করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন এই মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় ওড়িশার বালাসোরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয় নৌসেনার একটি সি-কিং ৪২বি হেলিকপ্টার থেকে। এই পরীক্ষা নৌসেনা ও ডিআরডিও-র যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়। প্রতিরক্ষায় বিশেষ করে মিসাইল প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে দেশের প্রথম জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইলের উৎক্ষেপণ বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চিনের মনে ভয় ধরাতেই নৌবাহিনীকে অত্যাধুনিক মিসাইল ও রণতরীতে সাজিয়ে তুলছে ভারত। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার মুম্বইয়ের মাজগাওঁ ডক থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আইএনএস সুরাট ও আইএনএস উদয়গিরি নামের দু’টি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করেন। আর আজই জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল উৎক্ষেপণ করে কার্যত চিনা নৌবহরকেই বার্তা দিল নয়াদিল্লি। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ফের অত্যাধুনিক ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় নৌসেনা ও বিমানবাহিনী।
#DRDOforIndia |Naval Anti Ship Missile successfully flight tested today from ITR, Chandipur. This is the first indigenous air launched Anti-Ship Missile system for @indiannavy.@PMOIndia @DefenceMinIndia @SpokespersonMoD#Aatmanirbhardefencehttps://t.co/pjI8hZBkdo pic.twitter.com/lYWSdmbZ0l
— DRDO (@DRDO_India) May 18, 2022
প্রসঙ্গত, ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকেই মুখোমুখি । এহেন পরিস্থিতিতে গতবছর ভারত মহাসাগরে সুমাত্রার পশ্চিমে নজরদারি চলতে দেখা যায় ‘শিয়াং ইয়াং হং ০৩’ নামের একটি চিনা জাহাজকে উপগ্রহ ছবিতেও ওই চিনা রণতরীর হদিশ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, ভারত তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে চিনা নৌসেনার গতিবিধির উপর। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছে, ভারতীয় জলসীমায় কোনও ধরনের অনুপ্রবেশ মেনে নেওয়া হবে না। যদিও এহেন আগ্রাসী কার্যকলাপের পরও বেজিংয়ের দাবি, জলদস্য দমনের জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌবহর পাঠাচ্ছে তারা।