বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত ইংল্যান্ডের মধ্যে লড়াই এখন রীতিমতো রোমাঞ্চকর যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে ১৯১ রানে অল আউট হবার ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল ভারত। যদিও বোলারদের গুনে ইংল্যান্ডকেও ২৯০ রানেই শেষ করে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা, কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে ছিল গুরুত্বপূর্ণ ৯৯ রানে লিড। দিনশেষে অবশ্য ম্যাচে কিছুটা জায়গা ফের ফিরে পেয়েছে ভারত। কারণ এই মুহূর্তে বিনা উইকেটে ৪৩ রান সংগ্রহ করেছে তারা। একদিকে যেমন ২০ রানে নট আউট রয়েছেন রোহিত শর্মা তেমনি অন্যদিকে ২২ রানে নট আউট কে এল রাহুল।
ম্যাচে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে হলে ভারতকে অন্তত সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি রান বানাতে হবে। যদিও এই কাজ কঠিন, তবে জানিয়ে রাখি এর আগেও ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান পেয়েছে ভারতীয় দল। ১৯৭৯ সালে এই মাঠেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সুনীল গাভাস্কার। সেবার তার ২২১ রানের ইনিংসের দৌলতে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৪২৯ রান সংগ্রহ করেছিল ভারত যার জেরে শেষপর্যন্ত ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয় তারা। ১৯৪৭ সালে এই মাঠেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২৩ রানের বড় লক্ষ্য খাড়া করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও।
তবে ইংরেজরাও বড় রান চেজ করেছে এই মাঠে। যদিও মাত্র একবারই জয় পেয়েছে তারা। একদিকে যেমন, ১৯০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৬৩ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নিতে সক্ষম হয়েছিল তারা, তেমনই আবার দুবার বড় রান করে ম্যাচ বাঁচিয়েছে ইংরেজ বাহিনী। তার মধ্যে একবার যেমন রাহুল দ্রাবিড়ের ভারতের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে ৩৬৯ রান করে ম্যাচ ড্র করেছিল ইংল্যান্ড, তেমনি আবার অন্যদিকে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও ৩০৮ রান করে ম্যাচ ড্র করেছিল তারা।
কার্যত এই পরিসংখ্যানে এটাই বুঝিয়ে দেয় যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের পক্ষে যথেষ্ট ভালো ওভালের ময়দান। আর তাই এখানে জয় পেতে হলে রীতিমতো বড় রান করতে হবে ভারতকে। আর তাই রোহিত বিরাট রাহুলদের কাছে অন্তত একটি ড্যাডি হান্ড্রেড আশা করবে ভারতীয় সমর্থকরা। কারন এই মাঠে লড়াইয়ে টিকে থাকতে অন্তত ৩৫০ রান করতেই হবে বিরাট বাহিনীকে।