বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ভারতের (India) এই প্রতিবেশী দেশ। বেশ কয়েক বছর আগেও ভারতীয়রা এই প্রতিবেশী দেশে নিয়মিত যাতায়াত করলেও আজ অবশ্য অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে পরিস্থিতি। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে IMF। নিশ্চয়ই ভাবছেন, ভারতের (India) এই প্রতিবেশী দেশটির নাম কী? হঠাৎ সেখানে হলই বা কী?
ভারতের (India) এই প্রতিবেশী দেশের বেহাল দশা
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ ও কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ক্রমাগত এই রাষ্ট্রটিকে নিয়ে যাচ্ছে শেষের দিকে। এই রাষ্ট্রের নাম মলদ্বীপ (Maldives)। মহম্মদ মুইজ্জু ২০২৩ সালে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসার পর চিনের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেন। দ্বীপ রাষ্ট্রটির পরিকাঠামো উন্নয়নে একদিকে যেমন চিন ঢেলে সাহায্য করেছে, ঠিক তেমনই বিপুল পরিমাণ চিনা ঋণের বোঝা চেপেছে মলদ্বীপের উপর।
আরোও পড়ুন : করোনার পর থেকে আটকে আফ্রিকান ফুটবলার! ক্ষতিপূরণ সমেত দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিল হাই কোর্ট
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই বিপুল পরিমাণ ঋণই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে দ্বীপ রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত IMF-এর একটি প্রতিনিধি দল যায় মলদ্বীপ সফরে। এই সফরে প্রতিনিধি দল দ্বীপ রাষ্ট্রটির বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, ভবিষ্যৎ ও সরকারি নীতি সম্বন্ধে বিস্তর আলোচনা করে। তারপরই IMF সতর্ক করে জানায়, বর্তমানে মলদ্বীপের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল।
আরোও পড়ুন : যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সাথে একী খেলা খেলছেন ট্রাম্প? সামনে এল অবাক করা তথ্য
আগামী দিনে ওই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যে আরও নেতিবাচক দিকে প্রবাহিত হতে পারে তারও আভাস দিয়েছে প্রতিনিধি দল। IMF মনে করছে, যে হারে মলদ্বীপে বাজেট ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ রয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দ্বীপ রাষ্ট্রটির ঘাড়ে বেড়ে চলেছে ঋণের বোঝা। আইএমএফের মতে, এই অবস্থায় ২০২৫ সালের বাজেটে ব্যয় সংকোচন পরিকল্পনা নেওয়া অত্যন্ত জরুরী সেদেশের সরকারের।
মলদ্বীপের অর্থমন্ত্রী মূসা জামির, মলদ্বীপ মনিটারি অথরিটি (MMA)-এর গভর্নর আহমেদ মুনাওয়ার এবং সংসদ সদস্যদের সাথে একটি বৈঠকও করে আইএমএফের এই প্রতিনিধি দল। সেই বৈঠকে সরকারের তরফে ব্যয় সংকোচ প্রসঙ্গে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ধরনের উদ্যোগও খুব একটা সুদূরপ্রসারী নাও হতে পারে।