বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, অসম থেকে গুজরাট, ভারতের (India) চারিপাশেই যেন গড়ে উঠেছে এক শত্রুময় করিডোর। উত্তর-পূর্বে চিনের (China) নজরদারি, তো আবার উত্তর-পশ্চিমে পাকিস্তানের (Pakistan) কলকাঠি, তালিকায় নয়া সংযোজন পূর্বে বাংলাদেশের (Bangladesh) অস্থির পরিস্থিতি।
ভারতের (India) শক্তি বাড়াচ্ছে ‘অশ্বিনী’
কখনও পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি ঢুকে পড়ছে ভারতে (India), আবার কখনও চিনা লাল ফৌজ চোখ রাঙাচ্ছে সীমান্তে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সবদেশই আধুনিক থেকে আধুনিকতর ভাবে সাজাচ্ছে নিজেদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে। চিনের পাশাপশি পাকিস্তান, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ড্রোন।
আরও পড়ুন : আজকের রাশিফল ১৯ মার্চ, কেরিয়ারে উন্নতি এই চার রাশির
সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের ‘চিকেনস নেকের’ কাছাকাছি একাধিক শত্রু ড্রোনের সন্ধানও পেয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। তবে এই ধরনের ড্রোনগুলি আকারে হয়ে থাকে অনেকটাই ছোট। সেই কারণে অধিকাংশ সময়েই সেনার নজর এড়িয়ে যায় এই ধরনের ড্রোনের গতিবিধি। এবার সেই সমস্যা মেটাতে বড় উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সংবিধান হিসেবে কোরানকে চাই! বড় দাবি জামায়াত নেতার, স্পষ্ট জানালেন…..
আন্তর্জাতিক সীমানা ক্ষেত্রকে আরও সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাথে কয়েক কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত ইলেকট্রনিক লিমিটেড। সূত্রের খবর, DRDO-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান BEL- র থেকে মোট ২ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কিনতে চলেছে ১৮টি লো-লেভেল ট্রান্সপোর্টেবল ব়্যাডার্স (LLTR)।
স্বল্প উচ্চতায় ওড়া বিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে অত্যন্ত সহায়ক হবে এই বায়ু প্রতিরক্ষা সিস্টেম (LLRT)। সীমান্ত এলাকায় শত্রু দেশের সেনার গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হয় ড্রোন। এই ধরনের ড্রোনের শনাক্তকরণের জন্যই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সেরা বাজি হতে চলেছে LLTR। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে নয়া এই LLTR-র নাম রাখা হয়েছে অশ্বিনী।